বিজ্ঞাপন

রাজশাহীর মেয়র লিটন, সিলেটে আনোয়ারুজ্জামান

June 21, 2023 | 10:28 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে তৃতীয় বার রাজশাহীর নগরপিতা হয়েছেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। আর সিলেট সিটিতে প্রথমবারের মতো নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছেন মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২১ জুন) রাতে রাজশাহী সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন এবং সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বেসরকারিভাবে দুই সিটি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের নগর পিতা নির্বাচিত হয়েছেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত লিটন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮০৭ ভোট বেশি পেয়েছেন। রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

এদিকে, সিলেটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট পেয়ে মেয়র পদে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম বাবুল লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে ৬৯ হাজার ১২৯ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সিলেট সিটি নির্বাচনে গড়ে ৪৬ দশমিক ৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন:

এর আগে, রাজশাহী ও সিলেটে সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে বিরতিহীনভাবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট চলে। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। রাতেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী দুই সিটিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিশাল ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তবে রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনে দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ অধিকাংশ দল বর্জন করায় এবং শক্তিশালী কোনো প্রার্থীও না থাকায় অনেকটা ঢিলেঢালাভাবেই ভোট সম্পন্ন হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, নির্বাচন শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘পাঁচ সিটি নির্বাচন ভালো হয়েছে। এই নির্বাচন আগামী জাতীয় নির্বাচনকে উৎসাহিত করবে। ভোটারদের উৎসাহিত করবে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে আগ্রহবোধ করবেন। তারপরও ভবিষ্যতেরটা ভবিষ্যতে দেখব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করে কিছু বলব না। জিনিসটা উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে, যারা রাজনীতিবিদ, প্রার্থী হবেন, ভোটাররা তাদের সকলের মধ্যে একটা ইতিবাচক চিন্তা-চেতনা সৃষ্টি হতে পারে। ভোটপ্রদান ও ভোটগ্রহণকে উৎসাহিত করবে।’

তিনি বলেন, ‘রাজশাহী-সিলেট নির্বাচন আমরা নির্বাচন মনিটরিং করেছি দিনভর। সকাল ৮টা থেকে শেষ অব্দি। আমি বলব, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও আনন্দমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। আধাঘণ্টা প্রবল বৃষ্টির কারণে কিছুটা ব্যাঘাত হয়েছে। তবে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন হয়েছে। আমরা যে কারণে সন্তুষ্ট বোধ করছি, কোনোরকম অপ্রীতকর ঘটনা ঘটেনি।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন