বিজ্ঞাপন

এক বেলা বিরতির পর ফের বৃষ্টি, দুই দিনে ঢাকাতেই ৩৬ মিলিমিটার

June 30, 2023 | 6:37 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বৃষ্টি যেন পিছু ছাড়ছে না। ঈদের দিন সকাল থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত অঝোরে ঝরেছে বৃষ্টি। ঈদের দ্বিতীয় দিনে সকালে কিছু সময়ের জন্য রোদের দেখা মিললেও দুপুরের পর থেকে লাগাতার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, গত দুই দিনে রাজধানী ঢাকাতে ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে ১৩৮ মিলিমিটার।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৩০ জুন) সকাল ৯ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গার এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। উত্তরপূর্ব মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সে. বৃদ্ধি পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। তবে বিকেল ৪টার পর ১২ থেকে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজধানীতে। আগামীকাল শনিবার (১ জুলাই) পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত চলবে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৩০ জুন) বিকেলে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বিকেল ৪টার পর ১২ থেকে

১৪ মিলিমিটার বৃষ্টির হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃষ্টি হতে পারে শনিবারও। তবে রোববার থেকে বৃষ্টি কমে আসতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে ১৩৮ মিলিমিটার। নিকলীতে ১০৯ মিলিমিটার, মোংলায় ৯৮ মিলিমিটার, ভোলায় ৬২ মিলিমিটার, ঈশ্বরদীতে ৫৮ মিলিমিটার, খেপুপাড়ায় ৫১ মিলিমিটার, তেঁতুলিয়ায় ৫০ মিলিমিটার, দিনাজপুরে ৪৭ মিলিমিটার, শ্রীমঙ্গলে ৪৫ মিলিমিটার, নেত্রকোণায় ৩৯ মিলিমিটার, তাড়াশে ৩৮ মিলিমিটার, ঢাকায় ৩৬ মিলিমিটার, সিলেটে ৩৫ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ৩২ মিলিমিটার, মাদারীপুরে ৩১ মিলিমিটার, মাইজদী কোর্ট ও রাঙামাটিতে ২৯ মিলিমিটার, চাঁদপুর ২৬ মিলিমিটার, চুয়াডাঙ্গায় ২২ মিলিমিটার, হাতিয়া ও খুলনায় ২০ মিলিমিটার, টাঙ্গাইলে ১৮ মিলিমিটার, ফরিদপুর ১৭ মিলিমিটার,ময়মনসিংহ ও বরিশালে ১৪ মিলিমিটার, গোপালগঞ্জ ১৩ মিলিমিটার এবং ডিমলা ও সাতক্ষীরা ১১ মিলিমিটার, কুমিল্লায় ১০ মিলিমিটার, রংপুরে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর বাইরে রাজশাহীতেও সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে সামুদ্রিক সর্তকবার্তায় বলা হয়েছে সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।

আরেক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম / পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/একে

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন