বিজ্ঞাপন

কক্সবাজারে পানিবন্দি ১৫ ইউনিয়ন, ঢলের পানিতে যুবকের মৃত্যু

August 7, 2023 | 8:27 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কক্সবাজার: টানা বৃষ্টি, জোয়ারের পানি ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার জেলার ১৫ ইউনিয়নের দুই লাখ মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। এদিকে, ঢলে আসা কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে চকরিয়ার মাতামুহুরি নদীতে ভেসে যায় এক যুবক। ২ ঘণ্টা পর ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেইসঙ্গে মেরিন ড্রাইভ, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টসহ উপকূলীয় এলাকায় সোমবারও (৭ আগস্ট) ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা করেছে আবহাওয়ার অফিস। আবহাওয়া অফিসের কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যাবেক্ষণ কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র দাশ জানান, রোববার বিকেল ৩টা থেকে সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর সোমবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৮১ মিলিমিটার। আগামী তিন দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

বৃষ্টি, জোয়ারের পানি এবং পাহাড়ী ঢলে চকরিয়া উপজেলার কমপক্ষে ১২ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পানিবন্ধি রয়েছে মানুষ। এ ছাড়া ঈদগাঁও উপজেলার তিনটি ইউনিয়নও প্লাবিত হয়েছে। চকরিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী জানান, পাহাড়ি ঢলে মাতামুহুরি নদীতে ভেসে আসা কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে রশিদ নামের এক যুবক নিখোঁজ হয়। পরে বিকেল ৩ টার দিকে ওই যুবকের মরদেহ নদীর লক্ষ্যরচর মোহনা থেকে উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান জানান, ১২ ইউনিয়নের ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ কর নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। মাতামুহুরি নদীতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্লাবিত এলাকার লোকজনকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্লাবিত এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

অপরদিকে, ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও, জালালাবাদ ও পোকখালী ইউনিয়নের ৭০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ঈদগাঁও নদীর পানি বেড়ে গিয়ে বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, সামুদ্রিক জোয়ারের ঢেউতে মেরিন ড্রাইভ, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা পয়েন্ট, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। মেরিন ড্রাইভের কিছু অংশে জিওব্যাগে বালির বাঁধ তৈরি করে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হলেও নতুন করে আরও কয়েকটি স্পটে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ওএফএইচ/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন