বিজ্ঞাপন

ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়তে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের তাগিদ

March 23, 2024 | 9:03 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের সবধরনের লেনদেনের ৩০ শতাংশ ক্যাশলেস বা ডিজিটাল মাধ্যমে করা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে এই টার্গেট থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে আছে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সেক্টর।

বিজ্ঞাপন

এ সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে শনিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) একটি কর্মশালার আয়োজন করে।

ফিনটেক ও ডিজিটাল পেমেন্টবিষয়ক বেসিস স্ট্যান্ডিং কমিটির এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক, সম্মানিত অতিথি ছিলেন পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক মো. মোতাসেম বিল্লাহ। পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ জিয়াউল হক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, ফিনটেক অ্যান্ড ডিজিটাল বেসিসের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ফাহিম মাশরুরের সভাপতিত্বে কর্মশালাটির সঞ্চালনা করেন বেসিস পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।

‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ সম্প্রসারণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় অংশ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন ব্যাংকের ডিজিটাল পেমেন্ট বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা, আন্তর্জাতিক পেমেন্ট নেটওয়ার্কের প্রতিনিধি, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ফিনটেক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা।

বিজ্ঞাপন

ক্যাশলেস পেমেন্টের চ্যালেঞ্জ হিসেবে বক্তারা যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন সেগুলো হচ্ছে- স্মার্টফোন ও অ্যাপের মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট নিতে ছোট দোকানদারদের অনীহা, ব্যাংকের অ্যাপ ব্যবহারের জটিলতা, উচ্চ ট্রানজেকশন খরচ, বাংলা কিউ আর সংক্রান্ত কারিগরি জটিলতা, গ্রাহক পর্যায়ে সচেতনতার অভাব ইত্যাদি।

ক্যাশলেস পেমেন্ট বাড়ানোর জন্য কর্মশালায় বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়। সুপারিশগুলো হলো– ডিজিটাল পেমেন্ট বাড়ানোর জন্য গ্রাহক ও ক্ষুদ্র দোকানদার উভয় পর্যায়েই প্রণোদনা দেওয়া জরুরি; ক্যাশ টাকার ব্যবহার কমানোর জন্য প্রয়োজনে ক্যাশ লেনদেনের ওপর অতিরিক্ত চার্জ আরোপ; ক্যাশলেস পেমেন্ট পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করতে ব্যাংক ও ফিনটেক প্রতিষ্ঠানকে সম্মিলতভাবে জনসচেতনতা তৈরিতে এগিয়ে আসা; ব্যাংকগুলোকে শুধুমাত্র বড় শহরে কাজ না করে উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে কাজ করা; বাংলা কিউ আর (Bangla QR) পেমেন্ট জনপ্রিয় করতে প্রতিটি ব্যাংকে গ্রাহকদের জন্য মোবাইল অ্যাপ চালু; যাদের অ্যাপ আছে, সেগুলোর ব্যবহার বাড়ানোর জন্য আরও সহজ ও ইউজার ফ্রেন্ডলি করা; ছোট দোকানদাররা যাতে গ্রাহকদের থেকে নেওয়া ডিজিটাল পেমেন্ট সাপ্লায়ারদের বা পাইকারি বিক্রেতাদের ক্যাশলেসভাবে দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করা; ডিজিটাল টাকা যাতে সহজে ক্যাশ হিসেবে উত্তোলন করা যায়, সেটা নিশ্চিত করা এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমের মধ্যে রিয়েল টাইম পেমেন্ট ও ইন্টারপারেবিলিটি নিশ্চিত করা।

কর্মশালার প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক ব্যাংক ও ফিনটেক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্যাশলেস বাংলাদেশ সম্প্রসারণে সরকারের লক্ষ্য অর্জনকে সফল করতে সাহায্যের আবেদন জানান। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সবধরনের নীতিগত সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।

বিজ্ঞাপন

বেসিসের পক্ষ থেকে বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বেসিসের সব সদস্যের পক্ষ থেকে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্যাশলেস পেমেন্টের সবধরনের উদ্যোগে সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন