বিজ্ঞাপন

বেশি কথা বললে হাটে হাড়ি ভেঙে দেব—ফখরুলকে কাদের

March 25, 2024 | 8:06 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ। ২৫শে মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে হলে দেশ থেকে পাকিস্তানি দালালদের প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে। ফখরুল সাহেব আপনিও রিজভীর মতো মাথা গরম করবেন না। বেশি কথা বললে হাটে হাড়ি ভেঙে দেব।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে ২৫শে মার্চ গণহত্যা নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধের কথা নেই, বঙ্গবন্ধুর কথা নেই। এরা পাকিস্তানের দালাল। বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এই সমাবেশ। এখানে মুক্তিযোদ্ধা হাতে গুণলে কয়েকজনকে পাবেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। এরা দালাল, এই দালালদের বিরোধিতার কারণেই ২৫শে মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি এবং পাকিস্তান থেকে ক্ষতিপূরণ পাইনি।

তিনি বলেন, এদেশে অবস্থান করা পাকিস্তানি নাগরিকরা দেশের বোঝা হয়ে আছে। পাকিস্তান কথা দিয়েও তাদের নাগরিকদের ফেরত নেয়নি। একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তান একটিবারও দুঃখ প্রকাশ করেনি। পাকিস্তানের কোন সরকারি লোক একাত্তরে যুদ্ধাপরাধীর জন্য বাংলাদেশের জনগণ ও বাংলাদেশের কাছে এযাবৎ ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। সেই পাকিস্তানের যারা দালালি করে তারা আমাদের স্বাধীনতার শত্রু। বিএনপি পাকিস্তানের দালালি করে এরা আমাদের শত্রু। এরা সপরিবারে বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তানের দালালে বাংলাদেশ ভরে গেছে। ২৫শে মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে হলে এই দালালদের প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে।

বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চান, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কোথায় ছিলেন? কোথায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন? কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন?

ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতার দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি। ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে এসে দিবাস্বপ্নে বিভোর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। বিএনপির প্রভু আছে। যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে ওকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো বিদেশি বন্ধু কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। কিন্তু বিএনপি’র প্রভুরা যখন নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করেছিল তখন আমাদের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষে দৃঢ়ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল।

এ সময় বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্য ব্যবহার নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ভারতীয় পণ্য। রান্নাঘর সবখানে। এখন রাজনীতি করার জন্য রিজভী গা থেকে কাশ্মীরি শাল ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়িয়েছেন। আরো কয়টি শাল রিজভীর ঘরে আছে কে জানে? ভারতীয় পণ্য ছাড়া খাবার জোটে না। ভারতীয় পেঁয়াজ কার ঘরে নেই?

বিএনপি মহাসচিবকে এসময় সতর্ক করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব আপনিও রিজভীর মতো মাথা গরম করবেন না। বেশি কথা বললে হাটে হাড়ি ভেঙে দেব। বিএনপি নেতারা ভারতীয় পণ্য কে কিভাবে ব্যবহার করে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতা মঈন খান, গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতের সহযোগিতা চান। আর রিজভী শাল ফেলে দেয়। নিজেদের মধ্যে মিল নেই। একেক জন একেক কথা বলেন। এ সময় বিএনপির আন্দোলন, অভ্যুত্থান, ৩২ দফাকে ভুয়া এবং মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশকে ডাবল ভুয়া হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা ২৫ মার্চকে আন্তজাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি এবং গণহত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন। একইসঙ্গে পাকিস্তানের প্রেতাত্মা বিএনপি জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমার্ণের প্র্যত্যয় ব্যক্ত করেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

সারাবাংলা/এনআর/এনইউ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন