বিজ্ঞাপন

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে হবে

May 27, 2018 | 4:37 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় প্রতি বছর জলবায়ু খাতে বাজেটে ৫ শতাংশ হারে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ত্রাণ বিতরণ, দুর্যোগে সাড়া প্রদান এবং উদ্ধার কার্যক্রমে তৃণমূল পর্যায়ে অংশগ্রহণ আরো বেশি বাড়াতে হবে।’

শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অ্যাকশন অ্যাইড বাংলাদেশ ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশের (আইসিসিসিএডি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, আইসিসিসিএডি’র পরিচালক ড. সলিমুল হক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাবেগর শিক্ষক ড. মিজান আর খান।

বিজ্ঞাপন

ফারাহ কবির বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মানুষের ব্যয় ও ঝুঁকি বেড়েছে। তাই এই খাতে আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। জলবায়ু প্রভাবজনিত কারণে ঋতু পরিবর্তন ঘটছে। অসময়ে বর্ষা, ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। তাই আগামী বাজেটে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বরাদ্দকৃত অর্থ সুষম বণ্টন করতে হবে।’

ড. সলিমুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও খুব বেশি অর্থ বাংলাদেশ পায়নি। ২০২০ সাল থেকে জলবায়ুর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া স্বল্পোন্নত দেশগুলো ১০০ বিলিয়ন ডলার পাবে। আশা করছি ওই সময়ে বাংলাদেশ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় আরো বেশি অর্থ বরাদ্দ পাবে। এলডিসি থেকে বের হওয়া না হওয়ার সাথে জলবায়ু তহবিল থেকে সাহায্যে পাওয়ার সাথে কোনো সর্ম্পক নেই।’

মিজান আর খান বলেন, ‘জলবায়ুর জন্য বাজেটে বরাদ্দবৃত অর্থ যাতে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আন্তজাতিকভাবে ২০ শতাংশ অর্থ আসছে জলবায়ু তহবিলে। এই অর্থ আমাদের যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন