উপকারভোগী নারী-শিশুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ লাখ ৫৪ হাজারে
৯ জুন ২০২২ ১৮:২১
ঢাকা: সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচিকে সর্বোত্তম বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।
এ কর্মসূচিকে প্রাধান্য দিয়ে গত অর্থবছরে উপকারভোগীর সংখ্যা রাখা হয়েছিল ১০ লাখ ৪৫ হাজার। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এ সংখ্যা ১২ লাখ ৫৪ হাজারে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়বে দুই লাখ ৯ হাজার। এ জন্য এ খাতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আরও পড়ুন-
- শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ছে
- দাম কমবে যেসব পণ্যের
- দাম বাড়বে যেসব পণ্যের
- সোনার দাম কমাচ্ছে সরকার
- বাড়বে বিলাসবহুল গাড়ির দাম
- সোলার প্যানেলের দাম বাড়বে
- করমুক্ত আয় থাকছে ৩ লাখ টাকাই
- দাম বাড়বে দেশি-বিদেশি মোবাইলের
- তথ্য ও সংস্কৃতিতে বরাদ্দ অল্পই বেড়েছে
- ট্রেনের প্রথম শ্রেণির টিকিটের ভাড়া বাড়ছে
- প্রবাসী আয়ে প্রণোদনা আড়াই শতাংশই থাকছে
- কোম্পানির করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমছে
- দেশের বাজারে ল্যাপটপ-কম্পিউটারের দাম বাড়বে
- দ্বিগুণের বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে গরিব-মেধাবী শিক্ষার্থীরা
- স্বাস্থ্যখাতে ৪ হাজার ১৩২ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব
বাজেট বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতাভুক্ত বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও প্রতিবন্ধী উপবৃত্তি কার্যক্রমে এবং দারিদ্র্য নিরসন কর্মসূচির আওতায় পল্লী ও শহর সমাজসেবা কার্যক্রম, এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে শতকরা ৫০ ভাগ নারী এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা দুস্থ মহিলা ভাতা এবং পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রমে শতকরা ১০০ ভাগ নারী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণের কার্যক্রমগুলোতে নারীর অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক থাকায় এগুলো বার্ষিক গড়ে ১.২০ লাখ নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি, আত্মকর্মসংস্থান, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্তি, আয়বর্ধক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, নিজস্ব পুঁজি এবং সরকারি সম্পদ ও সেবা লাভের সুযোগ সৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে। সামাজিক অপরাধপ্রবণ নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছয়টি কেন্দ্রের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভরণ-পোষণ, প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-
- একনজরে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট
- সংসদে অর্থমন্ত্রী, হাতে বাজেটের ব্রিফকেস
- কোন সরকার ও অর্থমন্ত্রী কয়টি বাজেট দিয়েছেন
- বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে প্রাধান্য দিতে হবে
- বাজেট বক্তৃতায় ‘ফিনিক্স পাখি’র গল্প শোনালেন অর্থমন্ত্রী
- ৭৮৬ কোটি থেকে ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট
- মন্ত্রিসভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন
- কর দিলে বৈধ হবে পাচার করা টাকা, কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবেন না
- রেকর্ড ঘাটতি নিয়ে আসছে ৬ লাখ ৭৮ কোটি টাকার বিশাল বাজেট
এতিম শিশুদের খোরাকি ভাতা জানুয়ারি ২০২২ থেকে ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে মাসিক জনপ্রতি চার হাজার টাকা হারে দেওয়া হয়েছে। শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত বিপন্ন শিশুদের সেবা প্রদান করে পরিবার বা নিকট আত্মীয় বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পুনঃএকত্রীকরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমানে কেন্দ্রগুলোতে মোট ২ হাজার ২৯১ জন (১ হাজার ৮৮ জন ছেলে এবং ১ হাজার ২০৩ জন মেয়ে) শিশু অবস্থান করছে।
মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র গর্ভবতী মায়ের জন্য বিদ্যমান মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং শহর অঞ্চলের কম আয়ের ‘কর্মজীবী মায়েদের জন্য ল্যাকটেটিং ভাতা’ এ কর্মসূচি দুটিকে সমন্বিত করে ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ নামে বাস্তবায়ন শুরু করেছি। এ কার্যক্রম জীবনচক্র ভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় মাতৃগর্ভ থেকে শুরু করে শিশুর জীবনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ এক হাজার দিনসহ চার বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ, শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে।’
এ ছাড়া মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যু হ্রাস, শীর্ণকায় ও খর্বকায় শিশুর সংখ্যা কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মূলত এ কার্যক্রম চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
আরও পড়ুন-
- লিফটের দাম বাড়বে
- বিদেশি পাখির দাম বাড়বে
- মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ৬ এর নিচে
- সার্বজনীন পেনশন চালুর ঘোষণা
- নন-কটন রফতানিতে প্রণোদনা চাই
- জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য সাড়ে ৭ শতাংশ
- বৃহস্পতিবার বাজেট পেশ— একটি রেওয়াজ
- রাজস্ব আহরণে আরও বেশি জোর দিতে হবে
- কৃষিখাত ৩৩ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ
- ময়দা আমদানিতে কমছে শুল্ক, কমতে পারে দাম
- বাজেটে শিল্প কারখানার দিকে বেশি নজর দিতে হবে
- প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের চাকরি দিলে কর ছাড়
- ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে কাটা ৫০ হাজার টাকা
- নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে মূল্যস্ফীতি, ঠান্ডা রাখতে হবে ডলারের বাজার
- সফটওয়্যার ও আইটিএস খাতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি রাখতে হবে
সারাবাংলা/ইউজে/একে