বাজেটে কৃষি খাতে যত সুবিধা
৯ জুন ২০২২ ২২:৪৭
ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতে বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কৃষি যন্ত্রপাতিতে (কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও থ্রেসার) কর রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সার, বীজ, কীটনাশক ইত্যাদি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় প্রধান প্রধান খাদ্যদ্রব্যের আমদানিতে বিদ্যমান শুল্কহার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। পোল্ট্রি শিল্পের খাদ্য প্রস্তুতে ব্যবহৃত হুইট গ্লুটেনের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমন প্রস্তাব দিয়েছেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘কৃষি আমাদের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত। কৃষিখাতের প্রধান উপকরণসমূহবিশেষ করে সার, বীজ, কীটনাশক ইত্যাদি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় প্রধান প্রধান খাদ্যদ্রব্যের আমদানিতে বিদ্যমান শুল্কহার অপরিবর্তিত রাখা এবং অন্যান্য নিস্তা প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানিতে প্রযোজ্য শুল্ক-করভার স্থিতাবস্থায় রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন-
- একনজরে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট
- সংসদে অর্থমন্ত্রী, হাতে বাজেটের ব্রিফকেস
- কোন সরকার ও অর্থমন্ত্রী কয়টি বাজেট দিয়েছেন
- বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে প্রাধান্য দিতে হবে
- বাজেট বক্তৃতায় ‘ফিনিক্স পাখি’র গল্প শোনালেন অর্থমন্ত্রী
- ৭৮৬ কোটি থেকে ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট
- মন্ত্রিসভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন
- কর দিলে বৈধ হবে পাচার করা টাকা, কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবেন না
- রেকর্ড ঘাটতি নিয়ে আসছে ৬ লাখ ৭৮ কোটি টাকার বিশাল বাজেট
তিনি বলেন, ‘ফরটিফাইড ও নন ফরটিফাইড বাসমতি চাল আমদানির ক্ষেত্রে পৃথক দুটি নতুন এইচ এস কোড সৃজন করে উভয় ক্ষেত্রে পূর্বের ন্যায় সর্বমোট করভার একই রকম রাখার প্রস্তাব করছি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশীয় পোল্ট্রি শিল্পের খাদ্য প্রস্তুতে হুইট গ্লুটেন ( Wheat Gluten/গম ময়দার আঠা) ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে উক্ত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বিদ্যমান রয়েছে। প্রাণীজ শিল্পের উৎপাদন ব্যয় কমানো এবং ভোক্তাদের স্বল্প মূল্যে আমিষের সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উক্ত পণ্যের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ হতে হ্রাস করে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।’
বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, গো খাদ্য তৈরিতে সুগারকেইন মোলাসেস এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গোখাদ্যের উৎপাদন ব্যয় কমাতে বর্ণিত পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ হতে হ্রাস করে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, ‘মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতের টেকসই উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে উক্ত খাতের খাদ্যসামগ্রী ও নানাবিধ উপকরণ আমদানিতে বিগত সময়ে প্রদত্ত শূন্য শুল্কহার এবং অন্যান্য হারে রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।’
পাশাপাশি ৩টি নতুন উপকরণ ( টেস্ক কিটস ফর ইউজ ইন পল্ট্রি, মোলাসেস ফিড গ্রেড কেন, মোলাসেস ফিড গ্রেড) এর ক্ষেত্রে রেয়াতি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন দুটি কৃষি যন্ত্রপাতি (কম্বাইন্ড হারভেস্টার-থ্রেসার অ্যান্ড আদার থ্রেসিং মেশিন) উক্ত খাতের জন্য বিদ্যমান এস.আর.ও তে অন্তর্ভুক্ত করে রেয়াতি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।’
- শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ছে
- দাম কমবে যেসব পণ্যের
- দাম বাড়বে যেসব পণ্যের
- সোনার দাম কমাচ্ছে সরকার
- বাড়বে বিলাসবহুল গাড়ির দাম
- সোলার প্যানেলের দাম বাড়বে
- করমুক্ত আয় থাকছে ৩ লাখ টাকাই
- দাম বাড়বে দেশি-বিদেশি মোবাইলের
- তথ্য ও সংস্কৃতিতে বরাদ্দ অল্পই বেড়েছে
- ট্রেনের প্রথম শ্রেণির টিকিটের ভাড়া বাড়ছে
- প্রবাসী আয়ে প্রণোদনা আড়াই শতাংশই থাকছে
- কোম্পানির করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমছে
- দেশের বাজারে ল্যাপটপ-কম্পিউটারের দাম বাড়বে
- দ্বিগুণের বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে গরিব-মেধাবী শিক্ষার্থীরা
- স্বাস্থ্যখাতে ৪ হাজার ১৩২ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি ও খাদ্য শিল্পে ব্যবহার হওয়া কোল্ড স্টোরেজ ফ্রিজার এবং চিলার এর ওপর উচ্চহারে আমদানি শুল্ক রয়েছে। ফলে দেশীয় কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষিভিত্তিক খাদ্য সংরক্ষণ কাজে ব্যবহৃত কোল্ড স্টোরেজ ফ্রিজার এর জন্য রেয়াতি হারে আমদানির সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করছি। একইসঙ্গে কোল্ড স্টোরেজ চিলার আমদানিতে মোট করভার ৩৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।’
প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষিকাজে ব্যবহৃত কীটনাশক প্রস্তুতে ব্যবহৃত কিছু কাঁচামালের বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাবও করেন তিনি।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রণীত বাজেটের শিরোনাম ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন’।
নতুন বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এর আগে, ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা ১০ হাজার ১৮১ কোটি টাকা কমে পাঁচ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় নেমে আসে। সে হিসাবে নতুন বাজেটের আকার সবশেষ বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের চেয়ে এটি ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি বা ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি।
আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে জিডিপি’র আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে আগামী অর্থছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-
- লিফটের দাম বাড়বে
- বিদেশি পাখির দাম বাড়বে
- মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ৬ এর নিচে
- সার্বজনীন পেনশন চালুর ঘোষণা
- নন-কটন রফতানিতে প্রণোদনা চাই
- জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য সাড়ে ৭ শতাংশ
- বৃহস্পতিবার বাজেট পেশ— একটি রেওয়াজ
- রাজস্ব আহরণে আরও বেশি জোর দিতে হবে
- কৃষিখাত ৩৩ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ
- ময়দা আমদানিতে কমছে শুল্ক, কমতে পারে দাম
- বাজেটে শিল্প কারখানার দিকে বেশি নজর দিতে হবে
- প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের চাকরি দিলে কর ছাড়
- ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে কাটা ৫০ হাজার টাকা
- নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে মূল্যস্ফীতি, ঠান্ডা রাখতে হবে ডলারের বাজার
- সফটওয়্যার ও আইটিএস খাতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি রাখতে হবে
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে