আসিফের মামলার প্রতিবেদন ১৭ ডিসেম্বর

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে দায়ের করা মামলায় জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত।

বুধবার (৩১ অক্টোবর) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম নিবানা খায়ের জেসি প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ঠিক করেন।

এর আগে এই মামলায় গত ৬ জুন কণ্ঠশিল্পী আসিফকে ৫ দিনের রিমান্ড ও জামিনের উভয় আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায় আদালত। ৫ দিন কারাভোগের পর গত ১১ জুন আদালতে আসিফের জামিন মঞ্জুর করলে সেদিনই তিনি মুক্তি পান।

গত (৫ জুন) মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল আসিফকে এফডিসির কাছের অফিস থেকে গ্রেফতার করে।

গত ৪ জুন সন্ধ্যায় গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন তেজগাঁও থানায় আসিফের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় আসিফ ছাড়া আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে। তেজগাঁও থানায় মামলা নম্বর- ১৫ (০৬)১৮।

মামলায় অভিযোগ করেছেন, গত ১ জুন রাত ৯টার দিকে একটি চ্যানেলের ‘সার্চ লাইট’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। এরপরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।

এরপর অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন। তার সেই পোস্টের নিচে আসিফ অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাতে আসিফ তার ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। লাইভে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন। ফেসবুকে পেজে লাইভে এসে ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, শফিক তুহিনকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। তিনি উসকানি দিয়েছেন। বাদী শফিক তুহিনের মানহানি হয়েছে।

সারাবাংলা/এআই/এমএইচ