বিজ্ঞাপন

জনগণের প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে : আমির খসরু

January 14, 2018 | 2:36 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘সংবিধান কোন ঐশী বাণী নয় যে এটা পরিবর্তন করা যাবে না। রাষ্ট্রের ও জনগণের প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করতে হয় আমাদেরও করতে হবে।’

রোববার বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু  মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন ।

সাপ্তাহিক জয়যাত্রার নির্বাহী সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে বাংলাদেশ সিভিল রাইসট সোসাইটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

আমির খসরু বলেন, সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চাচ্ছে। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে সংবিধানকে প্রথম ক্ষতক্ষিত করেছিল আওয়ামী লীগই। তারাই সংবিধানের প্রদত্ত গণতান্ত্রিক অধিকারকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠিত করেছিল। আজ আবারো সংবিধানের দোহাই দিয়ে গণতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিজেদের একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অপশাসনের ফলে রাষ্ট্রে প্রধান তিন স্তম্ভ সংসদ, বিচার ও নির্বাহী বিভাগ আজ ধ্বংস প্রায়। ফলে দেশ আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখান থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কঠিন।

আমির খসরু বলেন, বর্তমানে যে অপশাসন চলছে তা ১/১১ এর অপশানেরই ধারাবাহিকতা মাত্র। আওয়ামী দুঃশাসনে আজ গণতন্ত্র ধ্বংস প্রায়। জনগণের ভোটাধিকার সহ প্রায় সকল অধিকারই কেড়ে নিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় দেশ চলতে পারে না। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিকভাবে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের মুক্তির লক্ষে প্রয়োজনে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। সংবিধানে পারষ্পরিক সংঘাতপূর্ণ বিষয়গুলোকেও সংশোধন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সরকারের মনে রাখা উচিত শুধু উন্নয়ন দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যায় না। শুধু উন্নয়নই যদি ক্ষমতায় থাকার মূল বিষয় হতো তাহলে আইয়ূব খানের পতন হতো না। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে, কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়ে কোন স্বৈরশাসকই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না।

আমির খসরু বলেন, উন্নয়নের মেলার পর সরকারের পতনের সময়ও চলে এসেছে। দ্রুততম সময়েই সরকারের পতনের মধ্যদিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ফিরে আসবে।

সংগঠনের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নজমুল হক নান্নু, কবি আবদুল হাই শিকদার, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মুহম্মদ কামালউদ্দিন আহমেদ, শাহজাহান সাজু, সরদার মতিউর রহমান, মীর হোসেন মিলন, বাহার চৌধুরী, মিজান মাসুম, নিজামউদ্দিন দরবেশ, এইচ এম আল-আমিন প্রমুখ।

সারাবাংলা /এজেড/টিএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন