বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারের পরেই মুক্ত ছাত্রলীগের সেই সারোয়ার

May 14, 2019 | 3:05 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসককে ‘ধর্ষণের’ হুমকি দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতার করেই ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। হুমকির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন নিয়ে রেখেছিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১টায় সিলেট সদরের বন্দরবাজারের কোর্ট বিল্ডিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সারোয়ারকে। পরে তার কাছে আগাম জামিনের নথি থাকায় তাকে পুলিশ ধরে রাখতে পারেনি।

আরও পড়ুন- ‘ধর্ষণে’র হুমকি দেওয়া সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞা সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সারোয়ারের আগাম জামিন নেওয়া ছিল। তাকে গ্রেফতারের পর তিনি বিষয়টি আমাদের জানান। পরে আদালতের নথি আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাকে ছেড়ে দেওয়ার হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পরে থানা থেকে বের হয়ে সারোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি যেভাবে প্রচার করা হয়েছে, ‘সেভাবে ঘটনাটি ঘটেনি। সেদিন (৯ মে) আমাদের নেত্রীকে নিয়ে খারাপ কথা বলার কারণে উত্তেজিত হয়ে একটু বেয়াদবি করে ফেলেছি।’ ওই সময় ধর্ষণের হুমকি দেননি বলেও দাবি করেন তিনি।

এর আগে, সোমবার (১৩ মে) রাতে সারোয়ারের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফেরদৌস আহমেদ। মামলায় ১৩ জন চিকিৎসককে সাক্ষী করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- ‘একবার বের হ, রেইপ করে ফেলব’—চিকিৎসককে ছাত্রলীগ নেতা

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ৯ মে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর চিকিৎসাসেবা নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেন চৌধুরীর। একপর্যায়ে চিকিৎসক ডা. নাজিফা আনজুম নিশাতকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেন সারোয়ার। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে অভিযুক্ত সারোয়ার সারাবাংলাকে জানান, ‘মাথা গরম’ হয়ে যাওয়ায় তিনি ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন।

এ ঘটনায় শনিবার (১১ মে) অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তারা বলেন, ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার ইন্টার্ন চিকিৎসককে ধর্ষণ ও অসদাচরণ করার প্রতিবাদে সকাল থেকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। তারা সারোয়ার হোসেন চৌধুরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

সারাবাংলা/জেএ/এমএম/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন