January 29, 2018 | 5:54 pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের মানবিজ প্রদেশ থেকে এখনই সেনা সরানো হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর শীর্ষ এক কর্মকর্তা। গত দুই বছর ধরে মার্কিন সেনারা কৌশলগতভাবে সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটি নিজেদের কব্জায় রেখেছে।
মার্কিন সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের অধিনায়ক জেনারেল জোসেফ ভেটেল সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা এখনই মানবিজ থেকে সেনা সরানোর কথা ভাবছি না। আসলে এখনই সেনা সরানোর প্রয়োজনীয়তাও নেই।’
এর আগে গতকাল রোববার গতকাল মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের স্বার্থে সিরিয়ার জঙ্গিদের (কুর্দি) বিরুদ্ধে হামলা অব্যহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। দেশটির রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ওই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতেই যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
পেন্টাগনের নতুন এই ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের বার্তাসংস্থা সিএনএন লিখেছে, সিরিয়াতে তুরস্কের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পরদিনই মার্কিন সেনাবাহিনীর এই ঘোষণা মূলত দুটি দেশকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিল।
মানবিজ প্রদেশটি সিরিয়ার উত্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এর দক্ষিণে রয়েছে সিরিয়ার সবচেয়ে জনবহুল শহর আলেপ্পো এবং উত্তরে সিরিয়া ও তুরস্কের সীমান্ত শহর জেরাবুলাস।
বিবিসি লিখেছে, মার্কিন সেনাবাহিনীর এই ঘোষণার ফলে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়ল। কারণ সম্প্রতি আঙ্কারাও ওই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
গত সপ্তাহেই তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট কুর্দি জঙ্গিদের হঠাতে সিরিয়াতে একটি অভিযান শুরু করে। এর পর থেকে আমেরিকা এবং তুরষ্ক মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।
এই মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যেই গতকাল তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় জাতীয় কাউন্সিলে দেওয়া ভাষণে এরদোয়ান কুর্দি জঙ্গিদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘যারা মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করতে চেষ্টা করছে তাদের আমরা যেখানেই দেখব আইনের আওতায় আনব। তাদের বিচার করব।’
এরপর তুরস্কের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার না করার যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত রাশিয়ার আমন্ত্রণে সোচিতে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনার সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
আরও পড়ুন-
সারাবাংলা/ এমএ/ এসবি