বিজ্ঞাপন

শিক্ষক-চিকিৎসদের রাজনীতি বন্ধের দাবি ফিরোজ রশিদের

June 30, 2019 | 4:50 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: শিক্ষক ও চিকিৎসকদের রাজনীতি বন্ধ করে দিতে হবে উল্লেখ করে সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, ‘চিকিৎসক ও শিক্ষকরা যদি রাজনীতির বাইরে থাকে তাহলে এই দেশের কোনো সমস্যা থাকবে না।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩০ জুন) সকালে একাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।

তার আগে বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে শিক্ষার মান নিয়ে সমালোচনা করেন।

তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘আমাদের মৌলিক চাহিদা হচ্ছে শিক্ষা। এখানে আমরা এমপিওভুক্তির চেঁচামেচি করি। কিন্তু আমাদের শিক্ষকদের নৈতিক শিক্ষার অভাব আছে। এই নৈতিক শিক্ষার অভাব প্রায়ই আমরা দেখি। ভিকারুননিসা স্কুলে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল। নারায়ণগঞ্জের ঘটনা, নুসরাতের মাদসারার অধ্যক্ষ দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। এই নৈতিক শিক্ষার জায়গা কিন্তু আমাদের দুর্বল আছে। আমরা কি চাই, সরকার এত টাকা দিচ্ছে, বিনা পয়সায় বই দিচ্ছে, শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করছে। এমপিওভুক্তি চাওয়ার সঙ্গে দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার মানটা ওইভাবে হয় না।’

বিজ্ঞাপন

আজকে শিক্ষকরা দলীয় রাজনীতিতে জড়িত হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে কিছু বলা যায় না। যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসবে তখন তাদের একটা দল মহোৎসব চালায়। লেখাপড়ার ধার ধারে না, তাদের কোনো রিসার্স নেই। পড়ানোর ধারে কাছে যাবেন না কিন্তু ওখানে বসে থাকবেন। তাদের কিছু বলা যাবে না। শিক্ষক ও চিকিৎসকদের রাজনীতি বন্ধ করে দিতে হবে। ডাক্তার-শিক্ষকরা যদি রাজনীতির বাইরে থাকে তাহলে এই দেশের কোনো সমস্যা থাকবে না।’

‘আমাদের দেশে অসংখ্যা স্কুল কলেজ এখন সুন্দর হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা যাচ্ছে, বিনা পয়সায় বই পাচ্ছে। কিন্তু একটি জায়গায় অভাব, শিক্ষক পাওয়া যায় না। অর্থাৎ সারাদিন তারা রাজনীতির চর্চা করেন। রাজনীতি করা ভালো কিন্তু ক্লাসটা যদি নেয়, ছাত্র-ছাত্রীদের যদি নৈতিক বিষয় নিয়ে লেখাপড়া শেখায় তাহলে কিন্তু আমাদের এই অভিযোগ থাকে না।’

স্বাস্থ্য বিভাগে ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় বিএনপি সরকারের আমলে চিসিৎসকদের রাজনীতিকরণের সমালোচনা করে কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘আমার নিজের চোখ অপারেশন করেছি। কোনো দাগ নেই। আপনাদের আস্থা নেই দেশের ওপরে। কারণ কেন থাকবে, সমস্ত ডাক্তারদের তো আপনারা দলীয়করণ করেছেন। এই জন্য কে দায়ী? বদরুদ্দোজা চৌধুরী সাহেব প্রথম ড্যাব করেছিলেন জিয়াউর রহমানের আমলে। আপনারাই ডাক্তারদের দলীয়করণ করেছেন। সেখানকার ধারাবাহিকতা আজকে আমাদের পোহাতে হয়।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে স্বাচিপ, আপনারা আবার ক্ষমতায় আসলে সেই ড্যাব। আপনারা সমস্ত ডাক্তারদের নিয়ন্ত্রণ করেছেন। কাকে প্রমোশন দেবেন, কাকে ডিমোশন দেবেন। তাকে রাখবেন, কাকে সরিয়ে দেবেন। এগুলো আপনারাই করেছেন। এই পথ আপনারা দেখিয়েছেন। জাতিকে নষ্ট করে আজকে সমস্ত দায় দায়িত্ব এই সরকারের ওপর পড়ছে। এই সরকারের ওপর জঞ্জাল পড়েছে।’

এছাড়া তিনি বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে উল্লেখ করে বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী অত্যন্ত সৎ এবং তার বাবার সঙ্গে আমি কাজ করেছি। উনি সৎ এবং দক্ষ ছিলেন। আমি মনে করি, মন্ত্রী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে চালাচ্ছেন। কিন্তু ওই একটি জায়গা? ডাক্তাররা দলীয় রাজনীতিতে জড়িত হওয়ায় সব জায়গায় হাত দিতে পারেন না। মন্ত্রী তখন অসহায় হয়ে পড়েন। আমি মনে করি যে, সংসদ সদস্যরা যদি প্রত্যেকটি হাসপাতালে মনোযোগ দেন, তাহলে মন্ত্রীকে সহযোগিতা করা হবে এবং চিকিৎসার মান উন্নত হবে।’

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন