বিজ্ঞাপন

ধোনির আন্তর্জাতিক উইকেট পাওয়ার দিন

September 30, 2019 | 3:44 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি আপাতত মাঠের বাইরে। কবে ফিরবেন এখনও অজানা। ১৫ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তার আরও অজানা অনেক কিছু আছে। তার মধ্যে একটি হলো ধোনি উইকেটকিপার হলেও ওয়ানডে ফরম্যাটে দুই ম্যাচে বল করেছেন। এর মধ্যে একটিতে আবার উইকেটও নিয়েছিলেন। ৩৫০ ওয়ানডে খেলা ধোনি বোলিং প্রান্তে হাত ঘুড়িয়ে নামের পাশে জমিয়েছেন একটি উইকেট।

বিজ্ঞাপন

১০ বছর আগে এই দিনে (৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৯) ধোনি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বল করে একটি উইকেট পান। চার বছর পর ২০১৩ সালে একই টুর্নামেন্টে ধোনি আবারো বোলিং করেছিলেন। সেবার কার্ডিফে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বল করলেও কোনো উইকেট পাননি। বল করা দুটি ম্যাচেই তিনি অধিনায়কের পাশাপাশি ছিলেন উইকেটরক্ষক। ক্যারিবীয়ানদের বিপক্ষে ভারত জিতেছিল ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে আর লঙ্কানদের বিপক্ষে জিতেছিল ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।

এই দিনে ভারতের বিপক্ষে জোহানেসবার্গে ব্যাটিংয়ে নেমে উইন্ডিজরা ৩৬ ওভারে মাত্র ১২৯ রান তুলেই অলআউট হয়। ভারতের প্রাভিন কুমার, আশিষ নেহারা তিনটি করে উইকেট তুলে নেন। দুটি উইকেট পান হরভজন সিং। অমিত মিশ্র এবং ধোনি একটি করে উইকেট পান। রাইটআর্ম মিডিয়াম ডেলিভারিতে ধোনি ৪ ওভারে ১৪ রান খরচায় তুলে নেন একটি উইকেট। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা ট্রেভিস ডাওলিনের উইকেটটি নিয়েছিলেন ধোনি, তাও আবার বোল্ড করে। এই ডাওলিনের ওয়ানডে ক্যারিয়ার থেমে যায় মাত্র ১১টি ম্যাচ খেলে।

ইনিংসের ১৭তম ওভারে উইকেটকিপিং গ্লাভস খুলে দিনেশ কার্তিকের হাতে তুলে দেন ধোনি। তার আগে আশিষ নেহারার করা অষ্টম ওভারে দুটি ক্যাচ নিয়েছেন উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে। কাইরেন পাওয়েলকে ফেরানোর পর একই ওভারে ধোনি ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়ে দেন ডেভন স্মিথকে। ১৭তম ওভারে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ধোনি আসেন বোলিং প্রান্তে। নিজের চতুর্থ বলেই বোল্ড করেন ডাওলিনকে। ক্যাম্পেন কুলের ফুলার লেঙথের ডেলিভারি ডিফেন্স করতে গিয়ে প্লেইডঅন হয়ে বোল্ড হন ডাওলিন। দলীয় ৫৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় উইন্ডিজ।

বিজ্ঞাপন

২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কার্ডিফে দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল করেছিলেন ধোনি। ২৩তম ওভারে আরেকবার দিনেশ কার্তিকের হাতে গ্লাভস তুলে দেন। ৩১ ওভার শেষে আবারও উইকেটের পেছনে দায়িত্ব নেন। এর মাঝেই ৪ ওভার বল করেছেন ধোনি। মিডিয়াম পেসে ১৭ রান খরচায় কোনো উইকেট অবশ্য পাননি। ইনিংসের শেষ ওভারে রবীচন্দ্রন অশ্বিনের বলে জীবন মেন্ডিসকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন ক্যাপ্টেন কুল। লঙ্কানরা ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৮১ রান। জবাবে ভারত ৩৫ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয়।

বলে রাখা ভালো ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় উইকেট পেতে পেতেও পাওয়া হয়নি ধোনির। ২৩তম ওভারে যখন প্রথম ডেলিভারিটি দিলেন তখন স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন লঙ্কান কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনে। ছোটো রানআপে ধোনির দেওয়া ডেলিভারিটি ঠিকঠাক খেলতে পারেননি জয়াবর্ধনে, বল গিয়ে প্যাডে লাগলে এলবির জোরালো আবেদন করে টিম ইন্ডিয়া। আম্পায়ার আঙ্গুল উঁচিয়ে আউটের সিদ্ধান্ত জানালে রিভিউ নেন জয়াবর্ধনে। রিভিউতে তিনি বেঁচে যান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরপি

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন