বিজ্ঞাপন

এজাহার বদলে দেওয়া সেই ওসির বিরুদ্ধে তদন্তের আদেশ বহাল

March 1, 2020 | 2:54 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজশাহী জেলার পুঠিয়ার শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় এজাহার বদলে দেওয়ার ঘটনায় তৎকালীন ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তদন্ত করতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১ মার্চ) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদের আবেদন খারিজ করে দেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

আদালতে সাকিল উদ্দিনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও আব্দুল মতিন খসরু। অপরপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

পরে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, হাইকোর্টের আদেশ মতো তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন। আজ ওই আবেদনটি খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরফলে এখন এফআইআর বদলে দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্ট দুদককে যে তদন্ত করতে বলেছিল সেটা চলবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আসা বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহার বদলে দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত চেয়ে করা রিটের প্রেক্ষিতে গত ১ ডিসেম্বর রায় দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রায়ে আদালত বলেন, ওই ঘটনায় তৎকালীন ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। যা দণ্ডবিধির ১৬৬ ও ১৬৭ ধারা অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আদালত বলেছেন, দণ্ডবিধির ওই ধারা দুটি দুদক আইন ২০০৪ এর তফসিলভুক্ত। তাই রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এবং এ সংক্রান্ত নথি দুদকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলো। ওই প্রতিবেদন প্রাওয়ার পর দুদককে আইন ও বিধি অনুসারে পরবর্তী কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া, সাকিল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলামের মেয়ে, তার অধীনস্ত পুলিশ সদস্য ও তার শাশুড়ির দেওয়া অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থার জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২২ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে ‘এজাহার বদলে দিলেন ওসি’ শীর্ষক প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকের প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করা হয়।

নুরুল ইসলামের মেয়ে নিগার সুলতানার ওই রিটের পর ১৬ সেপ্টেম্বর ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদের এজাহার বদলে দেওয়ার ঘটনায় বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুলও জারি করেন।

ওই আদেশের পর রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনা তদন্ত করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে এজাহার বদলে দেওয়ার ঘটনায় ওসি সাকিল উদ্দিনসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তা দায় এড়াতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন