আজও শিমুলিয়া ঘাটে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঢল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

মুন্সীগঞ্জ: শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট দিয়ে ফেরিতে করে পদ্মা পার হচ্ছের শত শত গার্মেন্টস কর্মী। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে এসব যাত্রীকে কাঁঠালবাড়িঘাট থেকে ফেরিতে করে শিমুলিয়াঘাটে এসে ঢাকার উদ্দেশে বিকল্প যানবাহনে যেতে দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত কয়েক দিন ধরেই ঘাটে গার্মেন্ট  শ্রমিকদের ভিড় দেখা গেছে।

সকালে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শত শত যাত্রী দক্ষিণবঙ্গ থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন। তাদের অধিকাংশই গার্মেন্টস কর্মী। তারা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিকল্প যানবাহনে করে কাঁঠালবাড়িঘাটে এসেছেন। সেখান থেকে ফেরিতে করে শত শত যাত্রী পদ্মা পার হয়ে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন।

করোনার কারণে যাত্রীবাহী পরিবহন বা বাস বন্ধ থাকায় এসব যাত্রী বিকল্প যানবাহনে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গন্তব্যে ছুটছে। এসব যানবাহনের মধ্যে রয়েছে, আটোরিকশা, ইয়েলো ক্যাব, রেন্ট এ কার, মাইক্রোবাস, ও পিকাপভ্যানসহ নানা ধরনের যানবাহন।

শিমুলিয়া-কাঠালবাড়িতে ঢাকা-না.গঞ্জ-গাজীপুরমুখী শ্রমিকদের ঢল

 

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, সকালে থেকেই ফেরিতে করে শত শত লোক আসছে শিমুলিয়া ঘাটে। তাদের অধিকাংশই গার্মেন্টস কর্মী।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) হেলাল উদ্দিন জানান, বুধবার সকাল থেকেই শত শত গার্মেন্টস কর্মী দক্ষিণবঙ্গ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফেরিতে পদ্মা পার হয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন। এখান থেকে বিকল্প যানবাহনে তারা গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়ানা হচ্ছে। এদের অধিকাংশই গার্মেন্টস কর্মী। বর্তমানে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ রুটে দিনের বেলায় ৬টি ফেরি চলাচল করেছে বলেও জানান তিনি।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সীমিত আকারে এ নৌ রুটে ফেরি চলছে। জরুরি সেবার যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রী সাধারণ ফেরীতে পারাপার হচ্ছে।

সারাবাংলা/এমও