বিজ্ঞাপন

এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিই কেনাকাটায় দুর্নীতির অনুসন্ধান করবে দুদক

June 10, 2020 | 8:35 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিইসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সরঞ্জাম কেনাকাটায় অনিয়ম-দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১০ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদক পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রনব কুমার জানান, শিগগিরই এই বিষয়টি তদন্তের জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। করোনা মহামারি শুরুর সময় এসব সরঞ্জাম কেনাকাটার প্রক্রিয়া শুরু হয়। টেন্ডার হয়। এগুলো খুবই স্বাভাবিক  প্রক্রিয়া। এসব কেনাকাটায় অনিয়ম-দুর্নীতি কিংবা জালিয়াতির ঘটনা ঘটলে দুদক আইনি ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিই কেনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনিয়ম-দুর্নীতি বা প্রতারণার কিছু খবর এসেছে। কমিশন এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন সংরক্ষণ করছে। এসবের ভিত্তিতে কমিশন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে, দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশন সার্বিকভাবে এসব কেনাকাটার বিষয়গুলো অনুসরণ করছিল। এ বিষয়ে এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় তদন্ত সম্পন্ন করেছে বলে আমরা জেনেছি। এখন বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিশন বসবে এবং এসব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

দুদক পরিচালক বলেন, মাস্ক বা পিপিই’র মতো সরঞ্জামগুলো চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জীবনের নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই এসব অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে এবং দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

যেকোনো খাতে দুর্নীতি হলেই আইনি ব্যবস্থা, এমন স্পর্শকাতর বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই— বলেন দুদক পরিচালক।

দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব শুরু হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) থেকে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিই ও এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করা হয়। তবে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে, সরবরাহ করা এন-৯৫ মাস্কগুলো নকল ছিল। জেএমআই গ্রুপ এসব মাস্ক সরবরাহ করেছিল।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের পর ওই কমিটি গত ২৭ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে এরপর প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও সেই প্রতিবেদশ প্রকাশ পায়নি।

এদিকে, গত ২২ মে সিএমএসডি’র পরিচালকের দায়িত্বে থাকা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহকে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নিয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ন্যস্ত করা হয়। এই পদে বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) আবু হেনা মোরশেদ জামানকে প্রেষণে সিএমএসডি’র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/এসজে/টিআর

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন