বিজ্ঞাপন

ঈদে ‘সীমিত চলাচলে’ও সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪২ জনের মৃত্যু

August 9, 2020 | 9:12 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঈদুল আজহায় সীমিত আকারে পরিবহন চলাচলের মধ্যেও দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২০১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৩১ জন। সড়কের সঙ্গে রেল ও নৌপথ মিলে ২৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১৭ জন নিহত এবং ৩৭০ জন আহত হন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ‘ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন- ২০২০’ প্রকাশকালে এ তথ্য তুলে ধরেন। গত ২৬ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১৩ দিনের ঘটনা তুলে ধরেন তিনি।

সংগঠনটির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল প্রতি বছরের মতো এবারও প্রতিবেদন তৈরি করে। এতে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদকেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৬ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১৩ দিনে ২০১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪২ জন নিহত এবং ৩৩১ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ে রেলপথে চারটি দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। একই সময়ে নৌ-পথে ৩৩টি ছোট-বড় বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনায় ৭৪ জন নিহত এবং ৩৯ জন আহত হয়েছেন। ১৭ জন নিখোঁজের খবরও পাওয়া গেছে।

এবারের ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় ৪ আগস্ট। এদিনে ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হন ৩২ জন।

সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় ৮ আগস্ট। এদিনে আটটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। একদিনে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের ঘটনা ঘটে গত ৩১ জুলাই। এদিনে ৫৫ জন আহত হন।

বিজ্ঞাপন

এ সময়ে ৮৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১০৬ জন নিহত এবং ৬৫ জন আহত হন। এ বছর মোট সংঘটিত ২০১টি সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে ৮৮টি ঘটেছে মোটরসাইকেলের সঙ্গে অন্যান্য যানবাহনের সংঘর্ষে, যা মোট দুর্ঘটনার ৪৩.৭৮ শতাংশ। মোট নিহতের ৪৩.০৮ শতাংশ এবং মোট আহতের ১৯.৬৩ শতাংশ।

অন্যদিকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা ৫২.২৩ শতাংশ ঘটেছে। আগামী ঈদে এ দুটি ঘটনা এড়ানো সম্ভব হলে সড়ক দুর্ঘটনার প্রায় ৯৬.০১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করে যাত্রীকল্যাণ সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ, এডিটরস ফোরামের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টারের চেয়ারম্যান নুর নবী শিমু, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক ও জিয়াসহ অনেকে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএ/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন