যুক্তরাষ্ট্রে মডার্নার করোনা টিকা চালুর আবেদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মডার্না জরুরি ভিত্তিতে করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার অনুমোদন চেয়ে দেশটির ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অথোরিটির (এফডিএ) কাছে আবেদন জানিয়েছে। খবর ডয়চে ভেলে।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) মডার্নার  পক্ষ থেকে এফডিএ’র কাছে গ্রাহক পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।

এদিকে, এফডিএ’র অনুমোদন পেলেই টিকা বিতরণ শুরু করে দেবে মডার্না। মডার্না জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সির অনুমোদন মিললে ইউরোপেও ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে যাবে করোনা টিকাদান কার্যক্রম।

এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২০ এর প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলছিলেন, করোনার টিকা আসতে চলেছে। খুব তাড়াতাড়ি করোনার প্রতিষেধক পাবেন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। করোনা টিকা নিয়ে মডার্নার অগ্রগতি বিদায়ী প্রেসিডেন্টের ওই কথাটিকে সত্য প্রমাণ করতে চলেছে।

মডার্না জানাচ্ছে, তারা আলাদা করে কানাডা, সুইজারল্যান্ড, ব্রিটেন, ইসরায়েল ও সিঙ্গাপুরের রেগুলেটারি অথরিটির কাছেও করোনা টিকা চালুর অনুমোদন চেয়েছে।

মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, তাদের করোনা টিকার ট্রায়ালে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। ভ্যাকসিন নিলে খুব বেশি হলে সামান্য জ্বর হতে পারে। তাই চূড়ান্ত ধাপের ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আপাতত, মডার্না আট কোটি ডোজ করোনা টিকা সরবরাহ করতে পারবে। পরে আরো আট কোটি ডোজ দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, নভেল করোনাভাইরাসের অনেকগুলি প্রতিষেধক টিকা তৈরির কাজ এখন শেষ পর্যায়ে আছে। আরেক টিকা প্রস্তুতকারক ফাইজার জানিয়েছে, তাদের ভ্যাকসিনও তৈরি। এই টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনও শেষ পর্যায়ে। রাশিয়া তো চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষার আগেই ভ্যাকসিন চালু করে দেয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। সেই স্পুটনিক ৫-এর এখন চূড়ান্ত ধাপের ট্রায়াল চলছে। চীনেরও একটি করোনা টিকার কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। ভারতের দুইটি করোনা টিকা তৃতীয় ও শেষ ধাপের ট্রায়ালে রয়েছে। এমন এক অবস্থায় মডার্না জরুরি ভিত্তিতে টিকাদান কার্যক্রম চালুর অনুমোদন চাইল।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে আবার করোনার প্রকোপ প্রবল হয়েছে। ইউরোপেও করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। অনেক দেশেই করোনা মোকাবিলায় কড়াকড়ি এবং সপ্তাহান্তের লকডাউন ফিরে এসেছে। এই অবস্থায় ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হলে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সারাবাংলা/একেএম