বিজ্ঞাপন

পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং চুক্তি সই

December 11, 2017 | 4:59 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরের মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং এর কাজ বাস্তবায়নে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বেলজিয়ামের ‘জান ডি নুল’ কোম্পানির মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী উভয় কর্তৃপক্ষ একটি যৌথ কোম্পানি গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর জাহাঙ্গীর আলম এবং জান ডি নুল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জান পিটার ডি নুল । চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে  নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান উপস্থিত ছিলেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, ৩৬.৫ নটিকেল মাইল চ্যানেলের প্রথম পর্যায়ে টার্নিং বেসিনে ৯ মিটার এবং টার্মিনাল এলাকায় ১১মিটার  গভীরতায় ড্রেজিংএর জন্য প্রাক্কলিত প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩২.৪৩ মিলিয়ন ইউরো। সার্বিকভাবে চ্যানেলের প্রশস্ততা হবে টার্নিং বেসিনে ১২৫ মিটার এবং টার্মিনাল এলাকায় ৪০০ মিটার।

বিজ্ঞাপন

প্রথম পর্যায়ের ড্রেজিং শেষে ১১ মিটার গভীরতার জাহাজ মূল বন্দরে প্রবেশে সক্ষম হবে। ভবিষ্যত ড্রেজিং এর মাধ্যমে  দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২ মিটার এবং তৃতীয় পর্যায়ে ১৪ মিটার গভীরতার জাহাজ মূল বন্দরে প্রবেশের ব্যবস্থা হরা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালি জেলার কলাপাড়া উপজেলায় লালুয়া ইউনিয়নে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে পায়রা বন্দরের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালের  ১৩ আগস্ট পায়রা বন্দরের বহিঃনোঙ্গর থেকে পণ্য খালাসের মাধ্যমে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

২০১৬ সালের ২৫ মে ঢাকায়  পায়রা সমুদ্র বন্দরের মুল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষন ড্রেজিং এর জন্য পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি ‘জান ডি নুল’ এর মাঝে একটি সমঝোতা স্মারকপত্র স্বাক্ষরিত হয়।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, পায়রা বন্দরের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১৯টি কম্পোনেন্টের সব কয়টির উন্নয়ন কার্যক্রম একই সাথে  গ্রহণ করা জরুরি। এলক্ষ্যে ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন  হলে পায়রা বন্দর সংশিষ্ট সকল প্রকল্পের উন্নয়ন কার্যক্রম বেগবান হবে।

মন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে পায়রা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে ১১টি জাহাজ বহিঃনোঙ্গরে এসেছে। এতে সরকারের রাজস্ব এসেছে ১৮ কোটি টাকা; আর পায়রা বন্দর আয় করেছে এক কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে পায়রা বন্দরে একটি কয়লা/বাল্ক টার্মিনাল ও একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল চালু হবে।

সারাবাংলা/এমইউএস/একে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন