বিজ্ঞাপন

মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পক্ষে ফের সাফাই গাইলেন সেনাপ্রধান

February 8, 2021 | 10:58 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই প্রথম টেলিভিশন ভাষণে নতুন করে সেনা অভ্যুত্থানের পক্ষে সাফাই গেয়ে ফের নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সম্প্রচারিত ওই ভাষণে নভেম্বরের নির্বাচন সুষ্ঠু ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আবার নতুন করে নির্বাচন আয়োজন করে বিজয়ীদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হবে।

এর আগে, সাধারণ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। ওই অভ্যুত্থানের নিন্দা-প্রতিবাদে মুখর হয়ে দেশজুড়ে মানুষ বিক্ষোভে নেমেছে। রাস্তায় রাস্তায় তৃতীয়দিনের মতো বিক্ষোভ করছে জনতা।

এদিকে, নির্বাচনে বিজয়ী ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি এখনো বন্দি। তার মুক্তিরও দাবি জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ তাদের আন্দোলন স্তব্ধ করে দিতে খড়গহস্ত হয়েছে। আন্দোলন ছেড়ে চলে না গেলে কঠোর শাস্তির হুমকি দিচ্ছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

এ পরিস্থিতির মধ্যে সর্বশেষ ভাষণে আগের অবস্থানই জানান দিয়েছেন জেনারেল মিন অং হ্লাইং। অভ্যুত্থানের পর প্রথম মুখ খুলেই হ্লাইং এর সাফাই গেয়ে নতুন নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

এবারও অনেকটা একই সুরে তিনি অভ্যুত্থান কেনো ঘটানো হল সে ব্যাখ্যাই দিয়েছেন। নভেম্বরের নির্বাচনে ভোটার তালিকা নিয়ে নির্বাচন কমিশন তদন্তে ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন এবং করোনার অজুহাতে সুষ্ঠু প্রচার চালাতে দেয়নি কমিশন – বলে অভিযোগ করেছেন মিন অং হ্লাইং।

পাশাপাশি, নতুন নির্বাচন তদারকির জন্য একটি ‘নতুন নির্বাচন কমিশন’ গঠন করা হবে বলেও ভাষণে জানিয়েছেন জেনারেল হ্লাইং। তিনি বলেন, জান্তা একটি সত্যিকারের এবং নিয়মানুবর্তী গণতন্ত্র গড়ে তুলবে। যা আগের যুগের সামরিক শাসন থেকে ভিন্ন ধরনের হবে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, দেশের নাগরিকদেরকে নিজেদের ভাবাবেগের ঊর্ধ্বে উঠে বাস্তব সত্যকে উপলব্ধি করে চলারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিক্ষোভকারীদেরকে সরাসরি কোনো হুমকি না দিলেও হ্লাইং বলেছেন,কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।

অন্যদিকে, জেনারেলের এই ভাষণের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে মিয়ানিমারের সাধারণ মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, মানুষজন টেলিভিশনের পর্দার সামনে হাড়ি-পাতিল বাজিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

সারাবাংলা/একেএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন