August 26, 2021 | 7:39 pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তালেবানের শাসন আমলে আফগানিস্তানে সঙ্গীতের কোনো অনুমোদন থাকবে না, মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ।
তিনি বলেন, ইসলামে সঙ্গীত হারাম। তাই তাদের এরকম সিদ্ধান্ত। তবে তিনি আশা করছেন, জোর করে নয় বরং স্বপ্রণোদিতভাবেই মানুষ যেনো গান এড়িয়ে চলে সে ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।
এর আগে, ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত পাঁচ বছর আফগানিস্তানে তালেবান শাসন চলাকালীন সঙ্গীত, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল। আইন অমান্যকারীদের ভয়াবহ শাস্তির মুখে পড়তে হত।
পরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে অভিযানে তালেবানরা ক্ষমতা থেকে উৎখাত হলে দেশটিতে ফের সঙ্গীতচর্চা শুরু হয়। আফগানিস্তান জাতীয় সঙ্গীত ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হয়। বিভিন্ন উৎসব ও কনসার্ট আয়োজন করা হত।
তালেবান মুখপাত্র দাবি করছেন, নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ভিত্তিহীন। তিনি বলেছেন, নারীদের বাড়িতে থাকতে হবে না বা সব সময় মুখ ঢেকেও রাখতে হবে না। তিন দিন বা তার বেশি ভ্রমণে পুরুষ আত্মীয়ের তত্ত্বাবধানের বিষয়ও থাকবে না। নারীরা ধীরে ধীরে তাদের দৈনন্দিন রুটিনে ফিরতে পারবেন।
তিনি বলেন, নারীদের যদি স্কুল-অফিস-বিশ্ববিদ্যালয়-হাসপাতালে যেতে হয় তাহলে তাদের সঙ্গে পুরুষ আত্মীয়ের (মাহরাম) থাকার দরকার নাই।
অথচ, মঙ্গলবারই জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ নারীদের সতর্ক করে বলেছিলেন, উপযুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলার আগ পর্যন্ত নারীদের বাড়িতে থাকতে হবে। কারণ নারীদের হয়রানি বা আহত না করতে অনেক তালেবান যোদ্ধাদের এখনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি।
তার কথায়, নতুন যোদ্ধা ও যাদের প্রশিক্ষণ হয়নি তারা নারীদের প্রতি দুর্ব্যবহার করতে পারে বলে তারা উদ্বিগ্ন।
সারাবাংলা/একেএম