বিজ্ঞাপন

আত্মসমর্পণ করতে আদালতে স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি  

October 7, 2021 | 11:31 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট 

ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অর্থ আত্মসাতের মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আবুল কালাম আজাদ। কিছুক্ষণের মধ্যেই জামিন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম আত্মসমর্পণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর আত্মসমর্পণ করতে আদালতে আসেন আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু বিচারক অন্য মামলায় ব্যস্ত ছিলেন। এজন্য তিনি এ মামলায় শুনানি গ্রহণ করতে পারেননি। বিচারক তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে আসার জন্য বলেন। এরপর তার আইনজীবী আত্মসমর্পনের আবেদন তুলে নেন।
সম্প্রতি মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ চার্জশিটটি দেখেছেন।
চার্জশিটভূক্ত অপর ৫ আসামি হলেন,  রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক ( হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক ( হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।
চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখান থেকে তারা অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি ৩,৫০০ টাকা হিসেবে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করেন।
এছাড়া চার্জশিটে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরাসহ সমঝোতা স্মরকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে সর্বমোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ড বিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ ( ২ ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলাটি করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/এসএসএ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন