বিজ্ঞাপন

‘বিএনপির আমলেই বাংলাদেশ শ্রীলংকা ছিল, আমরা উদ্ধার করেছি’

August 30, 2022 | 5:40 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ কোনোদিন শ্রীলংকা হবে না, হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রীলংকার যে পরিস্থিতি, সেই পরিস্থিতি তো বিএনপির আমলে হয়েই গেছে— সেখান থেকে বাংলাদেশকে বর্তমান সরকার উদ্ধার করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আওয়ামী লীগের সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা কখনো ধার করে ঘি খাই না। বাংলাদেশ সব ঋণ সময় মতো পরিশোধ করছে।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে লাভ নেই। আজকে কেউ আন্দোলন করার কথা বলেছে, আবার কেউ বাংলাদেশকে শ্রীলংকা বানাচ্ছে। একটা কথা মনে রাখবেন- বাংলাদেশ কোনোদিন শ্রীলংকা হবে না, হতে পারে না। বাংলাদেশের শ্রীলংকার মতো বিএনপির আমলে হয়েই গেছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের জন্য হাহাকার, পানির জন্য হাহাকার, মানুষের কর্মসংস্থান নাই। এছাড়া জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস গ্রেনেড হামলা। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, সারাদেশে ৫০০ জায়গায় গ্রেনেড (বোমা ) হামলা। কিবরিয়া সাহেবকে হত্যা করা হল, এরকম বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ওপর হামলা হলো। তখন তো একটা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিতে দেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছিল। তখন মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাজে ওইটাই শ্রীলংকা, ওখান থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছি। আজকে কেন বাংলাদেশ শ্রীলংকা হবে। আমাদের যে অর্থনৈতিক গতিশীলতা সেটা যাতে অব্যাহত থাকে, অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ যাতে এগিয়ে যেতে পারে— সুপরিকল্পিতভাবেই সেই কাজ করছি।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শুধু অর্থনৈতিক কথা বললেই হবে না। এই অর্থনীতিতে আমাদের কি কি কাজ করতে হবে এবং সেটা চলমান ও গতিশীলতা থাকবে কি না? সেটার মাথায় রেখেই আমারা বাজেট তৈরি করি। উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করি। প্রত্যেকটা উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করার আগে চিন্তা করি- এই উন্নয়নটা সম্পূর্ণ হলে দেশের কি উন্নতি হবে। এইটা চিন্তা করি না যে, এই উন্নয়ন প্রকল্প নিলেই মোটা টাকার কমিশন খেতে পারব। সেই চিন্তা করে শেখ হাসিনা কোনো প্রকল্প নেয় না।’

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, একে তো করোনা তারপর যুদ্ধ। বাজেট এবং উন্নয়ন প্রকল্প। আমরা সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়ন প্রকল্পের প্রত্যেকটা বাজেট এ বি সি ডি করে পরিকল্পনা নিয়েছি। কোন কোনটা দ্রুত শেষ হবে, সেখানে বেশি অর্থ দিয়ে দ্রুত শেষ করে দেওয়া, যাতে তার ফলাফলটা দেশের মানুষ পায়, দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয়। আর কোনগুলো ধীরে চললে আমাদের কোনো ক্ষতি নেই বা একটু ধীরে যাওয়ার মতো সেগুলো আলাদা করা। এভাবে প্রত্যেকটা পদক্ষেপ পরিকল্পনা করে নিয়েছি।’

বৈদেশিক ঋণের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখান থেকে যে সমস্ত ঋণ নেয় তা সময় মতো পরিশোধ করে। বাংলাদেশের সেই রেকর্ড আছে। সেটা কিন্তু আমরা খুব সতর্কতার সঙ্গে করে দিচ্ছি। সতর্কতার সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি বলেই এতো বাধা-বিপত্তি, এতো কিছু।’

বিজ্ঞাপন

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভা পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরে সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি। সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সহ-সভাপতি সাদেক খান, আব্দুল কাদের খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।

সারাবাংলা/এনআর/এনএন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন