বিজ্ঞাপন

দিনাজপুরে আবারও বেড়েছে চালের দাম

September 14, 2022 | 8:56 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

দিনাজপুর: জেলায় আবারও চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। খুচরা ও পাইকারি বাজারে প্রায় সব রকম চালে কেজি প্রতি বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা। বেড়েছে ধানেরও দাম।

বিজ্ঞাপন

এক সমপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতিবস্তা (৭৭ কেজি) ধানের দাম বেড়েছে, দেড়’শ থেকে থেকে দুই’শ টাকা। সেই সঙ্গে বেড়েছে বস্তাপ্রতি চাল (৫০ কেজি) এক’শ থেকে দেড়’শ টাকা। খুচরা চালের বাজারে এর প্রভাবে প্রতিকেজি চালের দাম বেড়েছে দুই থেকে ৩ টাকা।

এদিকে, চালের দাম আবারও বেড়ে যাওয়ায় বিক্রেতা ও মিল মালিকেরা একে-অপরকে দুষছেন। ভারতে আতপ চাল রফতানিতে শুল্ক আরোপ করায় দেশে চাল আমদানি কমে গেছে এবং এর প্রভাব পড়েছে ধান ও চালের বাজারে এমনটাই মন্তব্য করেছেন ধান ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে চাল। আড়তদারের দাবি মিলারদের কাছে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। আর মিলাররা বলছেন ধানের দাম বেড়েছে। তাই বেড়েছে খুচরা বাজারে চালের দাম।

বিজ্ঞাপন

জেলার সবচেয়ে বড় চালের মোকাম এমএন মার্কেট বাহাদুর বাজারে একাধিক চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধানের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে মিলাররা প্রতিবস্তা চালের দাম এক থেকে দেড়’শ টাকা বাড়িয়েছেন।

এদিকে, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন দাবি করেছেন, প্রতিবস্তা (৭৭ কেজি) ধানের দাম বেড়েছে, দেড়’শ থেকে থেকে দুই’শ টাকা। সেই অনুপাতে চালের দামও বেড়েছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হারুন-উর-রশীদ জানান, ভারত সরকার আতপ চাল রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে দেশটি থেকে আতপ চালের আমদানি কমেছে। তবে সেদ্ধ চালের ওপর কোনো শুল্ক আরোপ না করায় বন্দর দিয়ে এই চাল আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উত্তরের শস্যভাণ্ডার খ্যাত ধানের জেলা দিনাজপুরে দেশের সিংহভাগ চাল উৎপাদন হয়। আর এই ধান-চালের জেলায় কয়েক দফা বেড়েছে চালের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে দুই থেকে ৩ টাকা। প্রকারভেদে বর্তমান খুচরা বাজারে বিআর-২৮ চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, মিনিকেট চাল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা এবং মোটা গুটিস্বর্ণা চাল ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন স্বল্প-আয়ের মানুষ। তারা বলছেন, দাম লাগাম টানা না গেলে সীমিত আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

বাহাদুর বাজারের পাইকারি চাল বিক্রেতা এরশাদ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী এরশাদ আলী জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম এক থেকে দেড়’শ টাকা বেড়েছে। মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল এনে প্রতি বস্তাায় ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা লাভে চাল বিক্রে করেন তারা। মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বাধ্য হয়েই তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

দিনাজপুর চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোছাদ্দেক হুসেন জানান, বাজারে ধানের দাম বৃদ্ধি ও প্রাপ্যতা কমে যাওয়ার কারণেই চালের দাম বেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

চাল ক্রেতা আইনুর আলম জানান, চালের দাম বাড়ার পেছনে কারসাজি রয়েছে। দায়িত্বশীলরা হয়তো দেখেও দেখেন না। আর বাজারের ব্যবসায়ীরাও ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, ধানের জেলা দিনাজপুরে প্রতিবছর চাল উৎপাদন হয়, ১৪ লাখ মেট্রিক টন। এই অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় নয় লাখ মেট্রিক টন চাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়।

সারাবাংলা/এনইউ

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন