বিজ্ঞাপন

ছাত্র অধিকারের ২৪ নেতাকর্মীর রিমান্ড-জামিন নাকচ

October 25, 2022 | 7:20 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই নেতার করা এক মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেনসহ ২৪ নেতাকর্মীর রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুরের আদেশ দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূরের আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে ১৩ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ আরিফুল আলম অপু আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। দুই দফা পিছিয়ে শুনানির তারিখ আজ ২৫ অক্টোবর ধার্য করা হয়।

এদিন আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করা হয়। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচের আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

আসামিপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. তসলিম হোসাইন অভি, আব্দুল কাদের, মো. তরিকুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, নাজমুল হাসান, রাকিব, আরিফুল ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এইচএম রুবেল হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মিজান উদ্দিন, বেলাল হোসেন, ওমর ফারুক জিহাদ, আবু কাউছার, জাহিদ আহসান, মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, সানাউল্লাহ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, মো. রাকিব ও সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ।

গত ৭ অক্টোবর বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে দ্বিতীয় দফায় হামলার শিকার হন তারা। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে দলটির দুই কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন ও আমিনুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এই দুটি মামলা দায়ের করে।

বিজ্ঞাপন

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র অধিকারের ২৪ নেতাকর্মীকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরদিন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। একইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য ১১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। এরপর গত ১১ অক্টোবর শুনানি শেষে এই ২৪ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। এরপর একাধিকবার রিমান্ড ও জামিন শুনানির তারিখ পিছিয়েছে।

সারাবাংলা/এআই/এনইউ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন