বিজ্ঞাপন

বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর ৯৯৯-এ ছেলের কল

May 7, 2023 | 6:30 pm

ডিস্টিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নরসিংদী: জেলার রায়পুরায় নেশাগ্রস্ত ছেলের দায়ের কোপে বাবা হাজী আইনুল হক (৭০) নিহত হয়েছে। এর পর ছেলে নিজেই ৯৯৯-এ কল দিয়ে হত্যার কথা জানায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ঘাতক ছেলে ইয়াসিনকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৭ জুলাই) সকালে উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মেজেরকান্দি উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ইয়াসিন হাজী আইনুল হকের ২য় ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ইয়াছিনের স্ত্রী হাওয়া বেগমের সঙ্গে তার বাবা ও মায়ের বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যা চলছিল। যার কারণে তার স্ত্রী বেশির ভাগ সময়ই বাপের বাড়িতে থাকতো। আজ সকালে এসব বিষয় নিয়ে ইয়াছিনের বাবার সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এর পর সে নিজেই ৯৯৯-এ কল দিয়ে হত্যার কথা জানায়। পরে পুলিশ এসে ইয়াছিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, আইনুল হক তার নেশাগ্রস্ত ছেলে ইয়াসিনকে খুবে বেশি প্রশ্রয় দিতেন। তার অনেক কুকর্ম তিনি টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিয়েছিলেন। আজ সেই নেশাগ্রস্ত ছেলেই তাকে কুপিয়ে হত্যা করল।

বিজ্ঞাপন

আইনুলের পুত্রবধূ হাওয়া বেগম বলেন, ‘আমার বিয়ে হয়েছে ৪ বছর। আমার শ্বশুর ও সৎ শাশুড়ির অত্যাচারে আমি প্রায় সময় বাপের বাড়ি কাটাই। আমাদের বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই শ্বশুর-শাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া হতো।’

ইয়াসিন মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর দেখতাম তিনি মাদক সেবন করতেন। কিন্তু ১১ মাস ধরে তিনি মাদক নেন না। বিশ্বাস না হলে আপনারা তাকে টেস্ট করে দেখতে পারেন।’

নিহতের বন্ধু হাজী কল্যাণ সংগঠনের মির্জানগর ইউনিয়নের সভাপতি হাজী আলম ভূইয়া বলেন, ‘আইনুল হাজী কল্যাণের মির্জানগর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আমরা ২০১৪ সালে একসঙ্গে হজ পালন করেছি। তারপর থেকে তার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক। তিনি প্রায়ই নেশাগ্রস্ত এই ছেলেকে নিয়ে কথা বলতেন। তিনি তাকে খুব ভয়ও পেতেন। তার জন্য নরসিংদীতে একটি বাড়িও বিক্রি করতে হয়েছে। আজ সকালে শুনতে পেলাম ইয়াসিন তার বাবাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এমন পাষণ্ড ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

বিজ্ঞাপন

রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক নবী হোসেন বলেন, ‘দা দিয়ে কুপিয়ে বাবাকে হত্যার পর ঘাতক ছেলে ইয়াসিন নিজেই ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানান। পরে আমরা তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাই। এ ঘটনায় হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদের জন্য ইয়াসিনের স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে থানায় নেওয়া হয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন