বিজ্ঞাপন

‘নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি, সব আসনে প্রার্থী খাঁড়া’

September 9, 2023 | 9:40 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপি উপরে উপরে আন্দোলন আর তলে তলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শোনেন খবর আরেকটা আছে। উপরে উপরে আন্দোলন তলে তলে নির্বাচন, সব আসনে ক্যান্ডিটেট খাঁড়া করে দিছে। একজন দুইজন তিন জন নয় আরও বেশি। নির্বাচন না করলে তারেক রহমানের মনোনয়ন বাণিজ্য কেমনে হবে?

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সারাদেশে বিএনপির আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও ভাঙ্চুরের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, আজ ভারতের নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেলফি তোলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের তোলা এই সেলফি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাইডেন সাহেব নিজেই ছবি তুললেন; এ দৃশ্য দেখে বিএনপির এখন কী হবে? এখন কোন যাত্রা? পতনযাত্রা না পশ্চাৎযাত্রা? এখন কেবলি পেছনের দিকে বিএনপিকে যেতে হচ্ছে। কোথায় বিক্ষোভ? কোথায় বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউ? কোথায় সাগরের উত্তাল তরঙ্গমালা? গোলাপবাগের গরুর হাটে খাদে পড়ে, তারপর পদযাত্রা মানে, পশ্চাৎযাত্রা।’

বিজ্ঞাপন

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যতটুকু দেখেছি মনে হয় না জনগণ আর গণমিছিলে আসবে। বিএনপির নেতাকর্মীরা আর আমেরিকার দিকেও তাকাবে না। তাহলে এখন কোথায়? ফখরুল সাহেব কী দেখাবেন?’

বাংলাদেশ বৃহৎ শক্তির বলয়ে চলে গেছে বিএনপি নেতা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি বলতে চাই এই বলয় বন্ধুত্বের বলয়। এখানে কোনো শত্রুতা নেই। বাংলাদেশে জাতির পিতা বলে গেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। এই নীতি বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা বজায় রেখেছেন। আগামী দিনে প্রমাণ হবে শত্রুতা কারো নয়। বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে মিথ্যার মহামারি ডেকে এনেছে বিএনপি। মিথ্যাচারের মহামারি এখন বিএনপির দৌলতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের একটা গ্রামের কর্মীও মিথ্যা কথা বলতে শিখিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

ফখরুল সাহেব এখন কী করবেন? সিঙ্গাপুর থেকে শলাপরামর্শ নিয়ে এসেছেন। এখানে এসে এক দফার আন্দোলন করবেন? এই আন্দোলন এখন ভুয়া বলেও দাবি করেন তিনি। বিএনপির আন্দোলনসহ জোটকে ভুয়া আখ্যায়িত করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এই ভুয়া দল যে আন্দোলন করছে সে আন্দোলনও ভুয়া।

নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ লুটপাট ষড়যন্ত্র দুর্নীতিবাজ স্বাধীনতাবিরোধী জঙ্গিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়ে যাবে। খেলা হবে অবিরাম। সেজন্য আমাদের নেতকার্মীরা আপনারা প্রস্তুত থাকবেন।’

এই শান্তি সমাবেশ আগামী নির্বাচন পর্যন্ত চলবে জানিয়ে বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘চোখে এখন সর্ষে দেখছে। খবর নিয়ে দেখবেন বিএনপির নেতারা আজকে বেলা থাকতেই মিছিল শেষ করে হাত-পা বিছিয়ে শুয়ে পড়েছে। একটারও ঘুম আসবে না রাতে। কি শুনলাম? কি দেখলাম? আর এখন কি হচ্ছে বাইডেন সাহেব হাসিনার সঙ্গে ছবি তুলেছে কেমন করে? এইসব দেখে কি আর ভাল লাগছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামীকাল আবার আরেকজন। ইউরোপের বিখ্যাত নেতা ইমানুয়েল ম্যাক্রো বাংলাদেশে আসছেন। আগামীকাল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসছেন। কী বলবেন ফখরুল? ী বলবেন গয়েশ্বর? কী বলবেন আমির খসরু? ইউরোপের সবচেয়ে জাদরেল নেতা আগামীকাল বাংলাদেশে সংক্ষিপ্ত সফরে আসছে। এখন শুধু আসবে। এখন নেগেটিভ আসবে না সব পজেটিভ।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপি ভিতরে ভিতরে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সব আসনে ক্যান্ডিটেট খাঁড়া করে দিছে। একজন দুইজন তিন জন নয় আরও বেশি। যার যত টাকা সে তত প্রার্থীতার জোর। লন্ডনে গিয়ে টাকা জমাচ্ছে। এতো টাকা আসে কোথা থেকে? তারেক রহমান মনোনয়ন বাণিজ্য করবে কী দিয়ে? ইলেকশন তো করতে হবে। নির্বাচন না করলে মনোনয়নের বাণিজ্য কেমনে হবে? খেলায় হেরে গেছে। খালি নির্বাচনটা হওয়ার বাকি। ফাইনাল খেলায়ও হেরে যাবে। এর মধ্যে ফাউল করবে। হলুদ আর লাল কার্ড এগুলো খাইতে থাকবে।’

তারেক এতোদিন খুব লাফালাফি করছে। কত রবি জ্বলেরে রে আঁখি দুটো মেলরে অবস্থা বেগতিক। বিএনপি এখন সামনে পিছে কিছু দেখে না বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেলসহ অবকাঠামো উন্নয়নের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি এগুলো দেখে না। বাংলাদেশে একদিনে শত সেতুর উদ্বোধন। আর কয়েকদিন পরে মেট্রোরেল যাবে মতিঝিলে। বিএনপির চোখে মুখে অন্ধকার। অন্ধকার দেখে। দিনের আলোর মধ্যেও এরা অমানিষার অন্ধকার দেখে। এতো উন্নয়ন চোখে পড়ে না। এখন একদিনে দেড়শ সেতুর উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা।

বিএনপি নেতাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। একটা তো (তারেক রহমান) পালিয়েছে,বাকিরা কে কোনদিকে পালাবে সেই চিন্তায় ঘুম আসে না বলেও জানান তিনি।

ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে সমাবেশে পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ মহানগর নেতারা।

সারাবাংলা/এনআর/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন