বিজ্ঞাপন

আলোর মুখ দেখছে ফুটবল একাডেমি

January 18, 2019 | 9:42 pm

।। স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকাঃ রাজধানীর বেরাইদের ফোর্টিজ স্পোর্টস গ্রাউন্ডে শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে। ভবনের কাজ চলছে। তার পাশে বড় সবুজ ঘাসের মাঠ। এখানেই গড়ে উঠছে দেশের সম্ভাবনাময় ফুটবল একাডেমি। বয়সভিত্তিক মানের ফুটবলাররা এখানেই বেড়ে উঠবেন ফুটবল শিখতে শিখতে। বিদেশি-দেশি টেকনিশিয়ানদের গড়ে উঠবে ফুটবল একাডেমি।

বিজ্ঞাপন

যেভাবে কাজ চলছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কথা মতো মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করে ফুটবলারদের ক্যাম্পে পাঠানোর কথা। তবে, একাডেমির দৃশ্যমান কার্যক্রম শেষে বাফুফে বস কাজী সালাউদ্দিন জানালেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ হবে।

একাডেমি নির্মাণের অগ্রগতি দেখতেই আজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বাফুফে বসসহ কর্মকর্তাগণ। এসময় মাঠ, আবাসিক ক্যাম্প ও ফুটবল কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখেছেন বাফুফের ডেভলপমেন্ট কমিটির সদস্যরাও।

বিজ্ঞাপন

যেভাবে তৈরি হবে একাডেমিঃ
খেলোয়াড় বাছাই থেকে একাডেমির নকশার কাজটি করবেন বাফুফের টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর পল স্মলি। একাডেমির ক্যাম্পে কোন খেলোয়াড়দের নেয়া হবে তার চিন্তাও স্মলির। কাজী সালাউদ্দিন জানান, ‘কোয়ালিটি প্লেয়ারদের নিয়ে এখানে ক্যাম্প হবে। পুরোটাই দেখবে ট্যাকনিক্যাল টিম। পল স্মলি দেখাশুনা করবেন। এর নকশার দায়িত্বও তার। আমরা শুধু বোঝাপড়ার কাজটা করবো। বিদেশি ১৪-১৫ জন টেকনিশিয়ানের সঙ্গে কাজ করবেন স্থানীয় টেকনিশিয়ানরা।’

একাডেমির অর্থায়নঃ
আপাতত নিজস্ব অর্থায়নে একাডেমি চালুসহ ফুটবল কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চান বাফুফে সভাপতি। পরিকল্পনা মোতাবেক দুই একবছর এভাবেই চালাতে চান। এ বিষয়ে তিনি জানান, ‘আমাদের ব্যক্তিগত ফান্ডিং দিয়ে এঁটা চালাবো। এক-দুই বছরের মধ্যে স্পন্সরও চলে আসবে। মেয়েদের জন্য যেভাবে এগিয়ে এসেছে পৃষ্ঠপোষকরা। যদি রানিং করে তাহলে কোনও সমস্যা থাকবে না।’

কারা জায়গা পাচ্ছেন এই একাডেমিতেঃ
ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গেছে আগেই। আর দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে জানান বাফুফে বস। সালাউদ্দিন বলেন, ‘একটা গোটা বিল্ডিং ওটার কাজ চলতেছে। আমরা আশা করতেছি তিন-চার সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করবো। আমার সবচেয়ে বড় প্রবলেম ছিল জায়গা। এখানে কোনও সমস্যা নেই।’

বিজ্ঞাপন

আবাসিক ক্যাম্প সংস্কার শেষ হওয়ার পরপরই ফেব্রুয়ারিতে ফুটবল ক্যাম্প চালু হবে। ট্যাকনিক্যাল কমিটি দ্বারা খেলোয়াড় বাছাই করা হবে। এবং ৬০ জন খেলোয়াড়কে একসঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করা হবে একাডেমিতে। বয়সভিত্তিক মানের খেলোয়াড় রাখা হবে এখানে।

এর আগে সিলেটে একাডেমি করে সেটা কয়েক মাসেই বন্ধ হয়ে যায় এবার কিভাবে এগোচ্ছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ওটা ঢাকার বাইরে ছিল। এবার ঢাকায়। ব্যক্তিগত স্পন্সরে চলবে। পরে পৃষ্ঠপোষকদের অর্থায়নে চলবে।’

এই ভেন্যু পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ, সহ-সভাপতি ও ট্যাকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান তাবিথ আউয়াল, উইমেন কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ, কে স্পোর্টসের সিইও ফাহাদ করিম, বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ ও ডেভলপমেন্ট কমিটির সদস্যবৃন্দ।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন