বিজ্ঞাপন

একশ বছরের পরিকল্পনা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

September 2, 2018 | 6:31 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার পরিকল্পনাই শুধু নয়, আগামী একশ বছরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন কাজ চলছে, চলবে। কতদূর কাজ করলাম, কতটা করতে হবে, সেটা দেখা হবে। একশ বছর পর বাংলাদেশকে আমরা কোথায় দেখতে চাই, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর মাধ্যমে সেই পরিকল্পনাও আমরা করেছি।’

রোববার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে সদ্যসমাপ্ত চতুর্থ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে কী থাকবে— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে জোটবদ্ধ। নির্বাচনী ইশতেহারে তাই জোটের দলগুলোর মতামত প্রাধান্য পাবে। আমরা এর আগে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারকে বলেছিলাম দিন বদলের সনদ। সেটা শেষ হওয়ার নয়। আমাদের দিনবদলের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর আওতায় একশ বছরের পরিকল্পনা আমরা করেছি। ২১০০ সালে বাংলাদেশকে কীভাবে দেখতে চাই, বদ্বীপকে বাঁচিয়ে রাখা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য অভিঘাত থেকে বাঁচানোর জন্যই এই পরিকল্পনা। আগামী মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) আমাদের জাতীয় নির্বাহী পরিষদের (এনইসি) বৈঠক আছে। সেখানেও এটা নিয়ে আলোচনা করা হবে।’

আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া অন্য কোনো সরকার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হাতে নিতে পারে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০১০ সাল থেকে আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত করণীয় অনেক দূর এগিয়েছে। ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমাদের কী করণীয়, সেটা প্রণয়নে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। জাতির পিতা বলে গেছেন, বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নই আমাদের ইচ্ছা। আর কিছু চাওয়ার নেই।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে, সংবাদ সম্মেলনে বিমসটেক চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আঞ্চলিক জোট বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) চতুর্থ এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ৩০ আগস্ট নেপাল যান তিনি। শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশন ও শুক্রবার (৩১ আগস্ট) সকালে সমাপনী অধিবেশনসহ সম্মেলনের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেন। সম্মেলনে তিনি উদ্বোধনী বক্তব্যও রাখেন।

বিমসটেকের চতুর্থ এই শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দাসো শেরিং ওয়াংচুক, শ্রীলংকান প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রিয়ুথ চ্যান-ও-চার ও মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেওয়া ছাড়াও সাইডলাইনে অন্যান্য দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে সাইডলাইনে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।

শুক্রবার একটি যৌথ ঘোষণার মধ্য দিয়ে এবারের বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়। ১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংকক ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই উপআঞ্চলিক সংস্থাটি গঠিত হয়। এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পাঁচটি দক্ষিণ এশিয়ার— বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও শ্রীলংকা। অন্য দু’টি দেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুরু

মিয়ানমার যা বলে তা করে না: প্রধানমন্ত্রী

‘ড. কামালের পকেটে সবসময় টিকেট থাকে’

‘তাড়াহুড়ো করে ইভিএম চাপিয়ে দেওয়া যাবে না’

বিএনপি ভোটে না এলে কিছু করার নেই: প্রধানমন্ত্রী

ক্ষমতায় না এলে সুদিন নয়, দুর্দিন আসবে: প্রধানমন্ত্রী

‘অগ্রযাত্রায় দেশের জনগণ ও গণমাধ্যম আমাদের পাশে থাকবে’

‘ম্যাজিক না, বাবার কাছে দেশের মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছি’

দরজা লাগিয়ে অপমান করেছে, আমারও আত্মসম্মানবোধ আছে: প্রধানমন্ত্রী

সারাবাংলা/এটি/একে/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন