শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
June 11, 2018 | 4:46 pm
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: চট্টগ্রামে চিকিৎসা না পেয়ে নবজাতকের মৃত্যুর কারণ ব্যাখ্যা করতে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন ও সিনিয়র নার্স ছায়া চৌধুরীকে তলব করেছে হাই কোর্ট ডিভিশান। আগামী ১ জুলাই তাদের স্ব-শরীরে হাজির হয়ে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (১১ জুন) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি সহিদুল করিমের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
মনজিল মোরসেদ জানান, আদালত আরও আদেশ দিয়েছেন নবজাতকের মা মরিয়ম বেগমকে চিকিৎসা দিতে এবং নবজাতকের জীবন রক্ষায় তাদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে ওই নারীকে ক্ষতিপূরণ দিতে ডাক্তার ও নার্সকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি অথবা সেক্রেটারিসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, গত ৯ মে (বুধবার) রাত ১১টার দিকে মরিয়ম বেগমের (২৬) প্রসব ব্যথা শুরু হয়। লোহাগাড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় তার গর্ভের সন্তান মারা যায়।
গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ গতকাল (রোববার) রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এদিন এই আদেশ দেন।
গণমাধ্যম সূত্র থেকে জানা যায়, রাতেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় মরিয়ম বেগমকে বেসরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়ার পর তিনি এখন তুলনামূলক ভালো আছেন।
মরিয়ম বেগমের স্বজনদের অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মরিয়ম বেগম যখন ব্যথায় ছটফট করছিলেন, তখন চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি দেখার পর সিনিয়র নার্স ছায়া চৌধুরীর কাছে পাঠান। চৌধুরী কোনো কথা না শুনেই তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন।
সারাবাংলা/এজেডকে/এটি
** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook
