বিজ্ঞাপন

আশা করি এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে: মাশরাফি

July 23, 2018 | 12:17 pm

।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ, এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর আরেকটি গল্প লিখেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিয়েছে মাশরাফি বাহিনী। ৪৮ রানের জয়ে টাইগাররা ১-০তে লিড নিয়েছে। অথচ, টেস্ট সিরিজের ব্যর্থতার পর রঙিন পোশাকে ঘুরে দাঁড়ানোটা সহজ ছিল না লাল-সবুজদের। টেস্টের পর যোগ দিয়েই যেন পুরো দলকে বদলে দিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি।

বল হাতেও মাশরাফি ছিলেন নেতার ভূমিকায়। ব্যাটিংয়ে তামিমের অপরাজিত ১৩০ রান, সাকিবের ৯৭ রান, মুশফিকের ১১ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ২৭৯ রান। এরপর অধিনায়ক মাশরাফি বল হাতে ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে তুলে নেন চারটি উইকেট। ওয়ানডেতে ফেরা মোস্তাফিজ তুলে নেন দুটি উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৩১ রান।

সবাই জানে, কঠিন কাজকে সহজ করে নেওয়া নেতা মাশরাফি। ম্যাচ শেষে ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসন এই রহস্য জানতে চাইলে ম্যাশ জানান, ‘আমার জন্য খুব কঠিন ছিল না দলকে উজ্জ্বীবিত করা। সবাইকে বলেছিলাম ম্যাচে যেন নিজেদের উজার করে দেয়। এর বাইরে তেমন কিছু বলিনি। বলেছিলাম টেস্টে যা হয়েছে, সেটা অতীত। খেলাটা দেশের জন্য, তাই আপনাকে হৃদয় দিয়ে খেলতে হবে। এটা নতুন সিরিজ। শুরুটা ভালো করতে পারলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সেটাই হয়েছে। আশা করি এই পারফরম্যান্স আমরা ধরে রাখতে পারব।‘

বিজ্ঞাপন

গায়ানায় এর আগেও দারুণ এক সুখস্মৃতি ছিল বাংলাদেশের। সেখানে ২০০৭ বিশ্বকাপের সুপার এইটে বাংলাদেশ হারিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সেই ম্যাচে খেলা মাশরাফি, সাকিব, তামিম ও মুশফিক খেলেছেন এবারও, চারজনই দারুণ পারফর্ম করেছেন। সেই জয়ের কথা ভুলেননি ম্যাশ, ‘২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় এখনও মনে আছে। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছি। শুরুর ব্যাটিংটা কঠিন হলেও সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছে তামিম-সাকিব। ওরা আমাদের ভালোর পথে রেখেছিল। আর শেষের দিকে মুশফিকের ঝড়ো ইনিংসটি ছিল দুর্দান্ত।‘

মাশরাফি আরও যোগ করেন, ‘আমরা জানতাম, শুরুতে ভালো বোলিং করলে এখানে ২৮০ রান তাড়া করা কঠিন। সেটাই হয়েছে। অনেকদিন পর বল হাতে নামলেও বোলিংয়ে আমি উপভোগ করেছি। আশা করি এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।‘

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন