বিজ্ঞাপন

জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু রিয়াল-ম্যানইউ-জুভেন্টাসের

September 20, 2018 | 11:42 am

।। স্পোর্টস ডেস্ক।।
জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ মিশন শুরু করেছে বড় দলগুলো। স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ, ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইতালির জায়ান্ট জুভেন্টাস।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাড়াই জয় তুলে নিয়েছে জুভেন্টাস। ২৯ মিনিটে লাল কার্ড পেয়ে ১০জনের জুভেন্টাস জয় তুলে নিয়েছে ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়েই। চ্যাম্পিয়নস লিগে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে জুভিরা। দুটি গোলই এসেছে পেনাল্টি থেকে। গোলদাতা একই। মিরালেম পিয়ানিচ।

জুভেন্টাসের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগে ‘এইচ’ গ্রুপের অপর ম্যাচে জয় পেয়েছে রোনালদোর প্রাক্তন ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। পল পগবার জোড়া গোলে ইয়াং বয়েজকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে হোসে মরিনহোর শিষ্যরা।

প্রতিপক্ষের মাঠ এস্তাদিও ডি মেসতাল্লায় জুভেন্টাসের দুটি গোল আসে ম্যাচের ৪৫ ও ৫১ মিনিটে। এর আগে ম্যাচের ২৯ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দলের সেরা তারকা রোনালদো। নিজের ক্যারিয়ারে এটা রোনালদোর ১১তম লাল কার্ডের ঘটনা। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে এটাই তার প্রথম। এই কার্ডের ফলে ‘এইচ’ গ্রুপের পরের ম্যাচে প্রাক্তন ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে তার খেলা অনেকটই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

মাঠে পড়ে যাওয়া ভ্যালেন্সিয়ার জেইসন মুরিয়োকে মাথায় হালকা ধাক্কা দিয়ে লাল কার্ড দেখেন রোনালদো। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি লাল কার্ড দেখার ইতিহাস রয়েছে জুভেন্টাস। মোট ২৬টি লাল কার্ড দেখেছে সিরি’আর ক্লাবটি। এবার তাদের জার্সি গায়ে খেলতে নেমে যোগ হলো রোনালদোর নামও। ১৫৪তম চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথমবারের মতো লাল কার্ডের তিক্ত স্বাদ পেলেন রিয়াল মাদ্রিদের প্রাক্তন এ তারকা।

ম্যাচের ৪৫ মিনিটে ডি বক্সে কানসেলোকে ফাউল করেন ভ্যালেন্সিয়ার দানিয়েল পারেয়ো। এ সময় সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে দেন পিয়ানিচ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে কর্নারের সময় ডি-বক্সে লিওনার্দো বোনুচ্চিকে ফাউল করেন মুরিয়ো। সফল স্পট কিকে আবারো দলের ব্যবধান দিগুন করেন পিয়ানিচ। যোগ করা সময়ে পেনাল্টির দেখা পেয়েও জুভেন্টাস গোলরক্ষক ভয়চেখকে পরাস্ত করতে পারেনি ভ্যালেন্সিয়া। ফলে শেষপর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে জুভেন্টাসে।

এদিকে ইয়াং বয়েজের মাঠে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ম্যানইউকে এগিয়ে দেন পগবা। বিশ্রামে যাওয়ার আগেই ৪৪ মিনিটে ব্যবধান দিগুণ করেন তিনি। এরপর স্বাগতিকদের মাঠে ৬৬ মিনিটে গোল পান অঁতনি মার্শিয়াল। শেষপর্যন্ত ৩-০ গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় রেডডেভিলসরা।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ইসকো ও গ্যারেথ বেলদের কল্যাণে রোমার বিপক্ষে ৩-০ গোলের উড়ন্ত জয় পেয়েছে রিয়াল। লা লিগার পর চ্যাম্পিয়নস লিগের শুরুতেও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অভাব ভক্তদের বুঝতে দিচ্ছেন না বেল-বেনজেমারা।

চেনা মাঠে প্রথমার্ধে ইসকোর গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রিয়ালের ব্যবধান দিগুণ করেন গ্যারেথ বেল। শেষ দিকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হয়ে তৃতীয় গোলটি মারিয়ানো দিয়াস। ম্যাচের ৪৫ মিনিটে চমতকার এক বাঁকানো ফ্রি-কিকে রিয়াল সমর্থকদের প্রথম গোলটি উপহার দেন ইসকো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রিয়ালের হয়ে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন বেল ও লুকা মডরিচ। তবে ম্যাচের ৫৮ মিনিটে আর ব্যর্থ হননি বেল। মাঝমাঠ থেকে মডরিচের লম্বা করে বাড়ানো শট ডি বক্সে কোনাকুনি এক শটে রোমার জালে পাঠান ওয়েলস এ তারকা।

ম্যাচের ৮০তম মিনিটে মার্কো অ্যাসেনসিওর গোলের প্রচেষ্টা রুখে দেন রোমার গোলরক্ষক। বদলি হিসেবে নামা মারিয়ানো যোগ করা সময়ে রোমার কফিনে শেষ পেরেক ঠুঁকে দেন। তার গোলের পর ৩-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন