March 20, 2018 | 5:25 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৭তম ওভারে যখন প্রথম বল করতে এলেন সৌম্য সরকার, ৪০ ঘণ্টা আগের কলম্বোর ওই স্মৃতি কি মনে পড়ছিল?
সৌম্যর কাছে সেটা অন্য কোনো জগতের গল্প মনে হতেই পারে। মিরপুরের মাঠে হাতেগোণা কয়েকজন দর্শক, বল করার সময় তেমন কোনো চাপও নেই। আর সেদিন কলম্বোতে পুরো স্টেডিয়াম ছিল বিপক্ষে, তার চেয়েও বড় কথা শেষ ওভারে শিরোপা জেতানোর অন্তহীন চাপ ছিল তার ওপর। আজ অবশ্য সৌম্য খুব বেশি বল করেননি, ব্যাট হাতেও তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে তার দল অগ্রণী ব্যাংকের তাতে জিততে সমস্যা হয়নি। রূপগঞ্জকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে, যদিও এই জয়ের পরও অগ্রণীকে খেলতে হচ্ছে রেলিগেশন লিগ।
শুধু সৌম্য নয়, আজ মাঠে নেমেছেন জাতীয় দল থেকে ফেরা মুশফিকুর রহিমও। রূপগঞ্জের হয়ে যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন, ৬ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলেছে ২ উইকেট। একটু পর মুশফিক দেখলেন, মোহাম্মদ নাঈম ও নাঈম ইসলামও আউট হয়ে ফিরে গেছেন। কিন্তু নিজেও থাকলেন না বেশিক্ষণ, ৪১ বলে ২১ রান করে ফিরলেন রিশি ধাওয়ানের বলে। ৫৫ রানে নেই রূপগঞ্জের ৫ উইকেট।
এরপর তুষার ইমরানের ব্যাটে শুরু প্রতিরোধের। মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ৭৫ রান। এরপর বাকিরা যাওয়ার মিছিলে থাকলেও তুষার লিস্ট ‘এ’ তে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়ে যাবেন বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষ ওভারে যখন স্ট্রাইক পেলেন, সেঞ্চুরি করতে প্রয়োজন ২ রান। কিন্তু সেখান থেকেই বোল্ড হলেন আল আমিনের বলে। রূপগঞ্জ করতে পারল ২০৪ রান।
এই রান তাড়া করে সৌম্য আর শাহরিয়ার নাফীস শুরু করেছিলেন সাবধানী। বিশেষ করে সৌম্য বেশিই সতর্ক ছিলেন, ম্যাচটা যেন ব্যাটিং প্র্যাকটিসের জন্যই বেছে নিয়েছিলেন। ৬৬ বলে ২৪ রান করে স্পিনার আসিফকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান। তবে নাফীস খেলছিলেন দারুণ, পাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির সুবাস। শেষ পর্যন্ত ১০৩ বলে ৮২ রান করে আউট হয়ে গেছেন। তবে তাতে সমস্যা হয়নি, ধীমান ঘোষের ৩৫ বলে ৪৯ রান ১৭ বল হাতে থাকতেই জয় এনে দিয়েছে অগ্রণীকে।
এই জয়ে ১১ ম্যাচে অগ্রণীর পয়েন্ট ৮, পয়েন্ট তালিকার শেষ দিক থেকে আছে দুইয়ে। আর ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা আবাহনীর পরেই আছে রূপগঞ্জ।
সারাবাংলা/এএম/এমআরপি