বিজ্ঞাপন

সম্পদের তুলনায় বাজেটের আকার খুবই ছোট: অর্থমন্ত্রী

November 12, 2018 | 11:45 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদের তুলনায় বাজেটের আকার খুবই ছোট বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সোমবার (১২ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। মোট ৩৬টি ক্যাটাগরিতে কেন্দ্রীয়ভাবে সেরা ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে করকার্ড তুলে দেওয়া হয়।

এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ও এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

গত ১০ বছরে বাজেটের আকার কয়েকগুণ বাড়লেও দেশের বাজেট সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘খুব বেশি উন্নতি হয়েছে বলে আমি স্বীকার করতে চাই না। আয়তন হয়তো কিছুটা বড় হয়েছে কিন্তু সম্পদের তুলনায় এট কম। এর ফলে যে অসুবিধা হয় সেটা হলো সরকারের অনেক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও, সাধারণ মানুষের অনেক দাবি দাওয়া পূরণ করা যায় না।’

তিনি আরও বলেন, অন্য দেশের বাজেট হয় মোট সম্পদের ২৪ থেকে ২৮ শতাংশ। সেখানে আমাদের দেশের বাজেট হয় ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ। আমাদের দেশেও সেটা করা গেলে বিরাট পরিবর্তন আসবে। এখনও চেষ্টা করছি। এটা করতেই থাকব। বার্ষিক আয় বৃদ্ধি ২ শতাংশ করে বাড়াতে হবে। এটা খুব অসম্ভব নয়। ১ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত করতে পেরেছি। আরেকটু চেষ্টা করলেই ২ শতাংশ করে বাড়াতে পারব। তবে অর্জন খুব মন্দ নয়। গত ১০ বছরে বার্ষিক আয় বৃদ্ধি দ্বিগুণের বেশি বাড়াতে সম্ভব হয়েছি। ভবিষ্যতে এটা ভালো করতে পারব।

দেশের অর্থনৈতিক গতিধারার অব্যাহত উন্নয়নে আগামী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, ‘আমাদের ভোটাররা সচেতন। তারা যে ভুল করবেন না সে ব্যাপারে আমি খুবই নিশ্চিত। আমি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছি।’

বিজ্ঞাপন

অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এনবিআর করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতে যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার এতে স্বাগত জানায়। এতে করে কর প্রদান আরও সহজ ও গ্রহণযোগ্য হবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, আমরা আশা করব, কর প্রদানে সবাই স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসবেন। নানা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটলেও বাংলাদেশ কর জিডিপি অনুপাতে এখনও পিছিয়ে আছে। করের আওতা বাড়াতে কাজ চলছে। তবে একই ব্যক্তির ওপর যেন বারবার করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া না হয়।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এটি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন