বিজ্ঞাপন

স্ত্রীর জন্যই মুশফিকের অমন উদযাপন

November 12, 2018 | 6:29 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ডাবল সেঞ্চুরির পরেই ব্যাট ছুঁড়ে ফেলে হাত মুঠো করে লাফিয়ে উঠলেন। এরপর গ্যালারির দিকে তাকিয়ে কার হৃদয় চিহ্ন দিয়ে ইঙ্গিত করলেন। তারপর সিজদা করে স্মরণ করলেন পরম করুণাময়কে। মুশফিকুর রহিমের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তার উদযাপন নিয়ে। জানালেন, ডাবল সেঞ্চুরিটা উৎসর্গ করেছেন তার সহধর্মিনী জান্নাতুল কিফায়াত মন্ডিকে।

মুশফিকুর রহিমের জন্য এই ইনিংসটা ছিল অন্যরকম। ক্যারিয়ারে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন আগেও, বাংলাদেশের হয়ে এই কীর্তি তারই প্রথম। তবে মিরপুরে আগে কখনো সেঞ্চুরি ছিল না মুশফিকের, এই মাঠে ডাবল সেঞ্চুরি ছিল না বাংলাদেশের কারও। মুশফিক তাই বললেন, নিজের আবেগের প্রকাশটা এবার একটু বেশিই ছিল, ‘আর সেলিব্রেশন যদি বলেন, এই ইনিংসটি আমি আমার স্ত্রীকে উৎসর্গ করেছি। ইনিংসটা অনেক স্পেশাল ছিল এবং ও আমাকে অনেক অনেক ইন্সপায়ার করেছে, ইভেন কালকেও আমাকে অনেক ইন্সপায়ার করেছে। আর ২০১০ সালে আমার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি, বিশেষ করে এই মাঠে আমার প্রথম সেঞ্চুরি। এটা আমার ক্ষেত্রে মাইলফলক ছিল। চেষ্টা থাকবে এটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার।’

সেঞ্চুরির পর একরকম উদযাপন ছিল, আবার ডাবল সেঞ্চুরির পর আরেকরকম। এবারও মুশফিক আগের কথারই রেশ টানলেন, ‘মিরপুরের ফার্স্ট হান্ড্রেড, এটা ব্যাক অব মাইন্ড ছিল। আমি যখন আস্তে সেভেন্টি এইটি এটলিস্ট একটা সেঞ্চুরি করতে পারলে আমার জন্য ভালো। বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের হোম গ্রাউন্ডে ভালো রেকর্ড থাকে, এখন পর্যন্ত আমার মিরপুরে একশ নাই। আমি খুব করে চাচ্ছিলাম যেন একশ হয়। আর আমরা এই সিরিজে পিছিয়ে আছি। সবকিছু মিলে এটার বহিঃপ্রকাশ। আর ওরা যেভাবে বল করছিল আমার জন্য সহজ ছিল না। আর আজকেরটা (সোমবার) আগে থেকে প্ল্যান ছিল ওই জায়গায় যেতে পারলে আমার সহধর্মিনীকে উৎসর্গ করব। কারণ এটা আসলেই স্পেশাল। ওর অবদান অনেক বড়। কারণ আপনারা জানেন, আমি মন খারাপ করে থাকি বা এটা করে থাকি। কিন্তু বিয়ের পর এটা আমার অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে। বাচ্চার পর তো আরও বেশি। আর আমার ফোনের ওয়ালপেপারে ওর ছবি। একটু হাসি দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। সবকিছু মিলে আলহামদুলিল্লাহ।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম/এসএন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন