বিজ্ঞাপন

প্রতিবাদ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেন ওই চিকিৎসক

January 9, 2018 | 8:06 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর চর্ম ও যৌন বিভাগের চিকিৎসক রিয়াদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযোগকারী।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,  অভিযোগকারী রাজধানীর একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুর নাহার ইয়াসমীনের আদালত ভুক্তভোগী মেয়েটির জবানবন্দী রেকর্ড করেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই রিপন কুমার বিশ্বাস তাকে আদালতে হাজির করে ২২ ধারায় জবানবন্দী নেওয়ার আবেদন করেন।

নির্যাতনের শিকার ওই  কলেজ ছাত্রী  আদালতে জবানবন্দী দিলে তা  মামলার নথিতে লিপিবদ্ধ করা হয়।। জবানবন্দি শেষে    তাকে মা-বাবার কাছে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

জবানবন্দিতে বলা হয়েছে, গত বছরের ৬ অক্টোবর ভোলার যমুনা মেডিকেল সার্ভিসের চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো. রিয়াদ সিদ্দিকীকে দেখান। প্রথম স্বাক্ষাতের পরে তার বিভিন্ন স্পর্শকাতার জায়গায় মলম ও ঔষধ লাগায় ওই চিকিৎসক। এ সময় প্রতিবাদ করেন রোগী। তবে রিয়াদ সিদ্দিকী বলেন, আমি তোমার ডাক্তার আমার কাজ তোমার চিকিৎসা করা ,আমি এগুলো করবো।

বিজ্ঞাপন

জবানবন্দীতে আরও বলা হয়, ২৯ ডিসেম্বর ওই মেডিকেলে স্বাক্ষাতের সময় ডাক্তার তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। প্রতিবাদ করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এর পর গত সপ্তাহে অভিযোগকারী ঢাকায় বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে আবারও তাকে ধর্ষণ করে।

ওই ঘটনায় সোমবার শাহবাগ থানায় তার বাবা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে গত ৪ জানুয়ারি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিসে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।

শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান জানান, ডা. রিয়াদ বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তার পলাতক থাকার বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/এমআই/জেডএফ

আরও পড়ুন:

রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন