বিজ্ঞাপন

৬৯ বছরের ঐতিহ্য আলোয় বর্ণিল সাজে সাজবে আওয়ামী লীগ

June 17, 2019 | 10:44 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ৬৯ বছরের পথচলায় ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীজুড়ে বর্ণিল সাজে সাজাবে টানা মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠার স্মৃতিবিজড়িত রোজ গার্ডেন হয়ে নবাবপুর, নবাবপুর থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও রাজধানীজুড়ে ঐতিহ্যের আলোয় সজ্জ্বিত হয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করবে দলটি। তবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে ছবি ব্যবহারে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা কঠোরভাবে মানার আহ্বান করেছেন নেতারা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক যৌথসভায় এমন তথ্য জানান নেতারা।

ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মহানগর নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদ কামাল, লালবাগ থানার সভাপতি হাজী দেলোয়ার হোসেন, শাহবাগ থানার সভাপতি জি এম আতিকুর রহমান, ওয়ারী থানার সভাপতি আশিকুর রহমান লাভলু, ও কোতয়ালী থানার সভাপতি ফজলুর রহমান পর্বতসহ অনেকে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ খোকন বলেন, ‘আসন্ন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা প্রাণখুলে মন ভরে উৎসবের আমেজে মেতে উঠবো। আমরা আনন্দের সঙ্গে আওয়ামী লীগের জন্মদিন পালন করবো। আমাদের প্রচার-প্রচারণায় সমস্ত কিছুতে যেন দৃষ্টিকটু কিছু না হয়। কারণ আমরা দেখি, আমাদের প্রচার-প্রচারণায় যে সমস্ত ব্যানার ফেস্টুন ব্যবহার করে থাকি, সেখানে আমাদের নিজেদের ছবি বিশাল করে দেওয়া থাকে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ছবি অত্যন্ত ছোট থাকে। আমাদের নেত্রীর ছবি ছোট থাকে। এটা শুধু দৃষ্টিকটু নয়, এটা আমাদের নেতৃত্বের প্রতি অবমাননা। আমরা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সুশৃঙ্খলভাবে পালন করার মধ্য দিয়ে এ শহরের জনগণ এবং দেশবাসীকে জানাতে চাই, আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটা সুশৃঙ্খল দল এবং রাজনৈতিকভাবে সচেতন একটি দল।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘ইতোমধ্যে একটি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেই সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, আমরা কিভাবে প্রচার প্রচারণা করবো? কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি, প্রচার প্রচারণা করার ক্ষেত্রে আমাদের ব্যক্তি প্রচার-প্রচারণার দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ছি। তখন কিন্তু দলের মূল যে প্রচারণাটা সেটা কিন্তু শক্তিশালী হয় না। আমাদের দলকে তুলে ধরা, দলের মূল প্রচারণাকে তুলে ধরা এবং দলকে জনগণের কাছে আরও বেশি নিয়ে যাওয়া ও জনপ্রিয়তা করাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মূল দায়িত্ব।’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মির্জা আজম বলেন, ‘মাননীয় নেত্রীর নির্দেশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অত্যন্ত জাঁকজমকপূণ করতে হবে। মানুষ যেন উপলব্ধি করতে পারে, এটা আওয়ামী লীগের জন্মদিন। আওয়ামী লীগের জন্মদিন উপলক্ষে আমাদের সংগঠনের সর্বোচ্চ যে শৃঙ্খলা সেটা কিন্তু মানুষকে আমাদের জানাতে হবে, আওয়ামী লীগ একটা সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে একটা নির্দেশনা দেওয়া আছে এবং একটা সিডি দেওয়া আছে। এই সিডির ছবিগুলো সুন্দরকরে বিভিন্ন সড়কের আইল্যান্ড, রাস্তার দুই পাশ, লাইট পোস্টে সংযোজন করতে হবে। রাজধানীর ভিআইপি রোডগুলোতে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমাদের মেয়র সাহেব ব্যবস্থা নেবেন। আমরা মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রত্যেকটি বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন যেটিই টাঙাই না কেন তার মধ্যে যাতে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু এবং সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সেই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই ছবিগুলোর বাইরে আমাদের কোনো দলীয় নেতাকর্মীর ছবি যাতে সেটাতে সংযোজন না করি। আর যারা এটা নির্মাণ করবেন, তৈরি করবো, যারা অর্থ ব্যয় করবেন, নিজের নাম-পদবি লিখে দেবেন, যাতে আমরা বুঝতে পারি, এটা তিনি করেছেন।’

বিজ্ঞাপন

মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির তুলে ধরে বলেন, ‘ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থাপনা যা আওয়ামী লীগের অতীত ঐতিহ্যকে তুলে ধরে, এগুলোকে আলোকসজ্জ্বিত করা হবে। এছাড়া ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে কিছু ব্যানার, ফেস্টুন করা হবে।‘

ব্যানার-ফেস্টুনে নিজেদের ছবি ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি জানান, ‘এসব ব্যানার-ফেস্টুনে শুধু সিটি করপোরেশনের নাম যাবে, মহানগর আওয়ামী লীগের নাম যেতে পারে, থানা-ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও কাউন্সিলদের নাম যেতে পারে কিন্তু কারো কোনো ছবি যাবে না, এটা হচ্ছে কেন্দ্রীয় নির্দেশ। আশা করি কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতাবেক আগামী দিনে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সুন্দর করতে, সম্মান জানাতে এবং দায়িত্বশীল আচরণ করে আমরা ঢাকা শহরসহ গোটা দক্ষিণকে সুন্দরভাবে সাজাতে চাই।’ তাই কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার আহ্বান জানান মুরাদ।

এছাড়া রোজ গার্ডেনে চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা করা হবে জানিয়ে মুরাদ বলেন, ‘সেখানে তিনশো থেকে সাড়ে তিনশর বেশি আসন গ্রহণ করা যায় না। স্থান সংকুলানের কারণে সেটা সীমিত আকারে করতে হবে। তাই আপনারা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগকে ভুল বুঝবেন না। আওয়ামী লীগের অতীত ঐতিহ্য রোজ গার্ডেন, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা, সেটাকে তুলে ধরে করার জন্য সেখানে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। নবাবপুর/৯১; এখানেও আওয়ামী লীগের কার্যালয় ছিল। সেই অফিসটিকে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে আলোকসজ্জ্বা করতে চাই এবং অতীত ঐতিহ্যকে ধারণ করতে চাই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রোজ গার্ডেন থেকে শুরু করে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ও সজ্জ্বিত করা হবে।’

আপনারা যারা ওয়ার্ডে আছেন, কাউন্সিলর আছেন, সভাপতি সাধারণ থানার নেতারা নিজ নিজ এলাকার কমিশনার কার্যালয়, আওয়ামী লীগ কার্যালয়গুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে আলোকসজ্জ্বা করবেন, রোডগুলোতে ইভেনন্ট ম্যানেজম্যান্ট যে ছবিগুলো দিয়েছে, সেগুলো দিয়ে সজ্জ্বিত করবেন। শুধুমাত্র থানা, ওয়ার্ড, কাউন্সিলরদের নাম দেবেন, কারও কোনো ছবি যাবে না বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন