বিজ্ঞাপন

স্থগিত হচ্ছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট, রানির অনুমোদন

August 28, 2019 | 10:55 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট স্থগিতের পরিকল্পনা অনুমোদন করলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রানি এ অনুমোদন দেন।

বিজ্ঞাপন

এর ফলে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। আগামী ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের শেষ দিন। এর আগে পার্লামেন্ট স্থগিত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর এমন আবেদনের সমালোচনা চলছে। হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বেরকো প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তকে ‘সাংবিধানিক জুলুম’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। সাধারণত স্পিকার কোনও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলেও এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘যেভাবেই সাজানো হোক, এটা স্পষ্ট যে পার্লামেন্টকে স্থগিত করার উদ্দেশ্য হলো সদস্যদের ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্ক করা থেকে বিরত রাখা।’

এদিকে বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতা জেরিমো করবিনও এমন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘পার্লামেন্ট স্থগিত রাখা গ্রহণযোগ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী যা করছেন তা হলো বিনা চুক্তির মাধ্যমে ব্রেক্সিট করার মাধ্যমে আমাদের গণতন্ত্রকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া।’

বিজ্ঞাপন

তবে পার্লামেন্টের নেতা জ্যাকব রেইস-মগ এ সিদ্ধান্তকে সাংবিধানিক বলে উল্লেখ করে বলেন, যা করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। এর আগে বরিস জনসন বলেন, চুক্তি হোক বা না হোক ৩১ অক্টোবরই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ছে যুক্তরাজ্য।  জনসন বলেন, আগামী ১৪ অক্টোবর নতুন অধিবেশন শুরুর প্রথম দিন রানি পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন। রানির ভাষণে ব্রেক্সিট নিয়ে তার রোমাঞ্চকর পরিকল্পনা থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য নো ডিল ব্রেক্সিট বা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের অর্থ হলো কোনও শর্ত ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়া। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত। ফলে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন হলে দেশটির অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন