বিজ্ঞাপন

না.গঞ্জের হাইজ্যাদি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

September 15, 2020 | 9:32 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সোনা চোরাচালনা মামলার আসামি হয়েও ছয় বছরে গ্রেফতার না হওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার হাইজ্যাদি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন ভুঁইয়ার (৫০) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন। মামলায় জড়িত পলাতক আরও ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিরও আদেশ দেন তিনি।

সাত কেজি তিনশ গ্রাম  সোনা চোরাচালান করার অভিযোগে ২০১৪ সালে বিমানবন্দর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় ছয় বছর আগে তদন্তর সময় এই চেয়ারম্যানের নাম আসে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২২ আগস্ট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালেশিয়ার কুয়ালামপুর থেকে আসা বিজি-৮৭ ফ্লাইটের যাত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার বড় আলমদি গ্রামের বাসাদ মিয়ার ছেলে মোহাম্মাদ আল আমীনের (২৫) কাঁধে থাকা ব্যাগ তল্লালি করে পাঁচটি এক কেজি, একটি ৫০০ গ্রাম ও ১৮টি ১০০ গ্রাম ওজনের সোনার বার উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা। এসব সোনার মোট ওজন ৭ কেজি ৩০০ গ্রাম।

বিজ্ঞাপন

ওই ঘটনায় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান সোনা চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর গ্রেফতার মোহাম্মাদ আল আমিন ওই বছর ২৬ আগস্ট আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

জামান, সোহেল, সেলিম ও রমজান নামে চার জনও ওই সোনা চোরাচালানে জড়িত বলে জবানবন্দিতে প্রকাশ করেন আল আমিন। ওই স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মচারী মো. ইয়াছিন মিয়া ওরফে সেলিম (৩৫) গ্রেফতার করে।

মামলাটি তদন্তের পর ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড টান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যান্ড স্মাগলিং টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান ২০১৬ সালের ২১ জুলাই ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

বিজ্ঞাপন

চার্জশিটে চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, আল আমিন, জসিম উদ্দিন, নূর-ই আলম, শংকর সরকার, শহিদুল ইসলাম বাবু, ইয়াছিন ওরফে সেলিম ও ইব্রাহিম শেখকে অভিযুক্ত করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন ও ইব্রাহিম শেখকে পলাতক এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতার দেখানো হয়।

মোট ১৬ জন আসামির নাম প্রকাশ পেলেও আট জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করায় ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত ২০১৭ সালের ৯ মার্চ সিআইডির কাছে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।

২০১৭ সালের ৩০ মার্চ থেকে সিআইডি মামলাটি অধিকতর তদন্ত শুরু করে চলতি বছর ৭ জুলাই সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. জহিরুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন। সেখানেও চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন আসামির তালিকায় আছেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তাকে গত ছয় বছরেও গ্রেফতার করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন