বিজ্ঞাপন

‘পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নে অর্থ চুরি করেছে উত্তর কোরিয়া’

February 9, 2021 | 1:58 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উত্তর কোরিয়া ২০২০ সাল থেকে তাদের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করে। এই কর্মসূচির জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার সাইবার-হ্যাকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে। খবর আলজাজিরা।

বিজ্ঞাপন

নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ সংক্রান্ত ওই প্রতবেদনটি রয়টার্স ও এএফপি- দুই বার্তা সংস্থাই পেয়েছে বলে জানিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ং ফিসাইল উপাদানের (পারমাণবিক চুল্লিতে ফিশন বিক্রিয়ায় ব্যবহৃত উৎপাদন) উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। একইসঙ্গে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে কার্যক্রম চালু রেখেছে এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটিয়েছে। দেশের বাইরে থেকে সংশ্লিষ্ট উপাদান ও প্রযুক্তি আমদানির চেষ্টাও চালিয়ে গেছে উত্তর কোরিয়া।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের এক মুখপাত্র জানান, উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে নতুন পথ তৈরির পরিকল্পনা করা হবে। এর মধ্যে চলমান চাপের বিকল্প ও ভবিষ্যতে সকল প্রকার কূটনৈতিক সম্ভবনা সম্পর্কে মিত্রদের সঙ্গে পর্যালোচনা করা।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর সামরিক প্যারেডে নতুন স্বল্প, মাঝারি, সাবমেরিন চালিত এবং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শন করেছে উত্তর কোরিয়া। আর গত মাসে, দেশটির ক্ষমতাসীন দলের অষ্টম কংগ্রেস উপলক্ষে পিয়ংইয়াংয়ের সামরিক প্যারেডে নতুন অস্ত্রের প্রদর্শন করা হয়। যাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র’ বলে অভিহিত করেছিল দেশটি।

বিজ্ঞাপন

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্র (দেশটির নাম উল্লেখ করা হয়নি) উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর আকার বিচার করে ধারণা করেন, এটি সম্ভবত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র হতে পারে। যা স্বল্প, মাঝারি ও দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তবে উত্তর কোরিয়ার তৈরি করা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি পুনরায় প্রবেশের সময় উৎপন্ন তাপ প্রতিরোধী কিনা তা নিশ্চিত নয় বলেও সদস্য রাষ্ট্রটি জানিয়েছে।

২০২০ সালে কোনো পারমাণবিক বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেনি উত্তর কোরিয়া। এ সময় পিয়ংইয়াং ঘোষণা করে, নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেড এবং কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের উৎপাদন ও পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘের পর্যবেক্ষরা মূল্যায়ন করেন, পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে সমর্থনের অংশ হিসেবে ২০২০ সালে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্ত হ্যাকাররা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ভার্চুয়াল কারেন্সি হাউজগুলোতে অবিরতভাবে সাইবার হামলা চালায়। এর মাধ্যমে তারা অর্থ সংগ্রহ করেন।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া ৩৬৬.৪ মিলিয়ন ডলার চুরি করে বলে সদস্য রাষ্ট্রটি জানিয়েছে।

তবে নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত উত্তর কোরিয়ার জাতিসংঘের প্রতিনিধি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন