বিজ্ঞাপন

সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণের পরদিনই পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান

March 9, 2022 | 4:51 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: শেয়ারের দাম কমার সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরদিনই পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। আগের দিন (মঙ্গলবার) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সার্কিট ব্রেকার (সিকিউরিটিজের দাম বাড়া বা কমার সর্বোচ্চ সীমা) নির্ধারণের পরদিন বুধবার (৯ মার্চ) পুঁজিবাজারে সূচকের এই বড় উত্থান হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রায় সবক’টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে ১৫৫ পয়েন্ট। এটি আগের ১৪ মাসের মধ্যে তথা ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারির পর সূচকের একদিনে সবচেয়ে বড় উত্থান। সূচকের এই উত্থান আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও অব্যাহত রয়েছে।

জানা গেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর নানা গুজব ও আতঙ্কে পুঁজিবাজারে ধারাবাহিকভাবে দরপতন চলতে থাকে। এভাবে দরপতনরোধে বিএসইসির কতৃক সেকেন্ডারি মার্কেটে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) থেকে আরও ১০০ কোটি টাকা দ্রুত বিনিয়োগের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি শেয়ার দাম কমার ক্ষেত্রে একদিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ ও বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এই দুইটি কারণে বুধবার (৯ মার্চ) দেশের দুই পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে।

আরও পড়ুন- শেয়ারের দাম এক দিনে ২ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না

বিজ্ঞাপন

এদিন ডিএসই‘র প্রধান সূচক একদিনে ইতিহাসে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ উত্থান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি ইতিহাসের সর্বোচ্চ অর্থাৎ ২৩২ পয়েন্ট সূচক বেড়েছিল। এছাড়া ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১৭ পয়েন্ট, একই বছরের ৯ আগস্ট তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৮০ পয়েন্ট, ১৬ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ সর্বোচ্চ ১৬৯ পয়েন্ট এবং ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট পঞ্চম সর্বোচ্চ ১৫৬ পয়েন্ট সূচক বেড়েছিল। এছাড়াও ২০১৫ সালের ১০ মে সূচক ১৫৪ পয়েন্ট বেড়েছিল, যা এখন সপ্তম সর্বোচ্চ উত্থান।

এদিকে, বুধবার ডিএসইতে ৩৭৮টি কোম্পানির ২০ কোটি ৫২ লাখ ৭২ হাজার ৭৭৪টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৬৫টির, কমেছ তিনটির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১০টির দাম।

আরও পড়ুন- ৪ দিন পর পতন থেমেছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বস্তি

বিজ্ঞাপন

দিন শেষে ডিএসইতে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৭৩ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭৪৬ কোটি ৯ লাখ টাকা। এদিন ডিএসই প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬৩০ পয়েন্টে উন্নীত হয়। এদিন ডিএসই শরিয়া সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪২৯ পয়েন্ট এবং ডিএসইএ-৩০ সূচক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে  উঠে আসে।

অন্যদিকে, এদিন দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৯৩টি কোম্পানির ৯৯ লাখ ৬ হাজার ৩৩৬টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫২টির, কমেছে মাত্র ২৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৩টির কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিন শেষে সিএসইতে ২৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার সিএসইতে ২২ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। এদিন সিএসই’র প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৮২ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ৪০০ পয়েন্ট উঠে আসে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন