বিজ্ঞাপন

বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম, সবজিতে আগুন

March 10, 2023 | 6:00 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে পোল্ট্রি মুরগির দাম তিন দফা বেড়ে কেজি প্রতি ২৬০-২৭০ টাকায় উঠেছে। এ ছাড়া অন্যান্য মুরগির দামও বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে ক্রেতা কমে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁও, শ্যামলী, কল্যাণপুর ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে (বিএনপি বাজার) মুরগি বিক্রিতা কবির হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, পোল্ট্রি মুরগি দাম গত সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে ২৬০-২৬৫ টাকা, পাকিস্তানি (সোনালি) ৩৫০-৩৫৫ টাকা, লেয়ার ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৮০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মাছ বিক্রেতা জামাল হোসেন নামের সারাবাংলাকে বলেন, আজ রুই (বড় সাইজ) ৪০০-৪২০ টাকা, পাবদা মাছ (ছোট) ৪০০-৪২০ টাকা, দেশি ছোট চিংড়ি ৬০০ টাকা, সামুদ্রিক চিংড়ি (মাঝারি) ৭০০ টাকা, টেংরা ৪৮০-৫০০ টাকা, কাচকি মাছ (সাগরের) ৩০০ টাকা, সিং মাছ (মাঝারি) ৪৫০-৪৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।

একই বাজারের সরকার মৎস্য আড়তের আকরাম হোসেন বলেন, রুই মাছ বড় সাইজ ৪০০-৪২০ টাকা, মাঝারি ধরনের ৩২০-৩৫০ টাকা বিক্রি করছি। মাছের দাম এ সপ্তাহে বাড়িনি বলে জানান তিনি। ইংলিশ মাছ (৬০০-৬৫০ গ্রাম ওজনের) ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের বয়লার মুরগি ও ডিম বিক্রি করেন রাসেল মিয়া। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, বয়লার মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় কাস্টমার কমে যাচ্ছে। দাম শুনিই মানুষ চলে যায়। বয়লার মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা, পাকিস্তানি ৩৩০-৩৪০ টাকা, লেয়ার ২৮০ টাকা, হাঁস ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। সব ধরনের মুরগির দাম বাড়লেও ডিমের দাম আগের মতোই আছে।

শ্যামলী কাঁচা বাজারে ডিম বিক্রিতা হালিমা খাতুন সারাবাংলাকে বলেন, এ সপ্তাহে ডিমের দাম বাড়েনি‌। ফার্মের মুরগির ডিম ১৩০ টাকা ডজন, ফার্মের মুরগির লাল ডিম ১৪০ টাকা, হাঁসের ডিম ২৪০ টাকা এবং কোয়েল পাখির ডিম ডজন প্রতি ৪৫ টাকা ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে।

কল্যাণপুর এলাকায় ভ্যানে করে শাকসবজি বিক্রি করেন মজনু মিয়া। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, দু-তিন ধরে লাউ শাকের দাম কিছুটা বাড়তির দিকে। রোজার আগে দাম মনে হয় কমবে না। অন্যান্য শাক সবজির দামও বাড়তির দিকে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

আগারগাঁওয়ের (বিএনপি বাজার) গরু মাংসের বিক্রেতা আবদুল লতিফ সারাবাংলাকে বলেন, গরুর মাংস ৭৪০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।

কৃষি মার্কেটের এক মাংস বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, মাংসের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনতে হলে ভারত থেকে গরু আমদানি করতেই হবে। যদিও এতে দেশের খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

শ্যামলী কাঁচা বাজারের মাংস বিক্রেতা জিহাদ মিয়া জানালেন, আজকে খাসির মাংস ১০০-১০৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। তবে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের রাজধানী মাংস বিতানে খাসির মাংস ১১০০ টাকা, ছাগির মাংস ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। একই বাজারে গরুর মাংস ৭৪০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

এদিন আগারগাঁওয়ের পেঁয়াজ, রসুন, আলু বিক্রেতা মোরশেদ হাওলাদার সারাবাংলাকে বলেন, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, রসুন ১৬০ টাকা, আদা ১২০ টাকা ও আলু ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।

কৃষি মার্কেটের পাইকারি বাজারের মেসার্স হুজাইফা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. খোকন মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, পেঁয়াজ, রসুন, আদার দাম কিছুটা বাড়তির দিকে। সামনের সপ্তাহে হয়ত বাজারে এর প্রভাব পড়বে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি সবজির দামও বাড়তি। দুই একটি ছাড়া কোন সবজিই ৪০/৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। সজনে বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা কেজিতে, ঢেড়শ ১০০-১১০ টাকায়, করলা ১১০-১২০ টাকা কেজিতে। কাঁচা মরিচ ১৩০-১৪০ টাকায়, বেগুন (লম্বা সাইজ) ৬০ টাকা, সিম ৬০-৬৫ টাকা, ফুলকপি ৫০-৫৫ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৩৫ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, মিস্টি কুমড়া প্রতি পিস ৪০ টাকা, এক হালি লেবু আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়।

আগারগাঁওয়ের (বিএনপি বাজার) সবজি বিক্রেতা সুমন মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় বেঁচা বিক্রি কমে যাচ্ছে। দাম জিজ্ঞেস করে কাস্টমার চলে যায়।

এ সপ্তাহে চাল, ডাল, ছোলা তেলের বেসনের দাম বাড়েনি। এসব বিষয়ে কৃষি মার্কেটে মোরশেদ ট্রেডার্সের বিক্রেতা হারুন মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ছোলা ৯০-৯৫ টাকা, খোলা চিনি ১২২-১২৫ টাকা, মসুর ডাল (দেশি) ১৪০ টাকা, বেসন ১০০ টাকা, বুকের ডাল ১০০ টাকা, খেসারি ডাল ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর সয়াবিন ও সরিষার তেলের দাম আগের মতোই আছে। চালের বাজারও গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন