বিজ্ঞাপন

খুলনায় ফের খালেক ‘নগরপিতা’

May 15, 2018 | 10:27 pm

।। মেসবাহ শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

খুলনা থেকে: এক মেয়াদের বিরতি। তারপর ফের খুলনার নগরপিতা নির্বাচিত হলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রায় ৭০ হাজার ভোটের বড় ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে খুলনা সিটির ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনলেন আওয়ামী লীগকে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৫ মে) খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৯৫৬ ভোট।  ২৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে ভোট স্থগিত হওয়া তিন কেন্দ্র বাদে বাকি ২৮৬টি কেন্দ্রের ফলে ৬৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে খালেক বিজয়ী হয়েছেন।

এর আগে, ২০০৮ সালে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তালুকদার আব্দুল খালেক। যদিও ২০১৩ সালের নির্বাচনে তিনি হেরে গিয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে সোনাডাঙ্গায় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী তথ্য/ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে খুলনা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী কেন্দ্রভিত্তিক ফল ঘোষণা করছেন।

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৫৬১টি ভোটকক্ষে। বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দুইটি ইভিএম কেন্দ্রে প্রার্থীদের পাওয়া ভোট জানানোর মধ্য দিয়ে নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু করে নির্বাচন কমিশন।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কমিশন বলছে, বিচ্ছিন্ন ঘটনায় তিনটি ভোটকেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত হওয়ার ঘটনা বাদ দিলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও একে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে দাবি করা হয়েছে। তবে বিএনপি এই নির্বাচনকে ‘ভোট ডাকাতি’র নির্বাচন বলে অভিযোগ করেছে।

খুলনা সিটির নির্বাচনে মোট ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২৩৪টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। সকাল ৮টায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট শুরু হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঝুঁকিপূর্ণ ওইসব কেন্দ্রগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ আসতে থাকে।

দুপুর নাগাদ নগরীর অন্তত শ’খানেক কেন্দ্র দখলে নিয়ে সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থীর লোকজন ইচ্ছেমতো ব্যালট পেপারে সিল মেরেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোথাও কোথাও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যেও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে, জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় খুলনার ইকবাল নগর সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে লবণছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজি মালেক দারুলসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণও স্থগিত করা হয়।

বিজ্ঞাপন

খুলনা সিটির এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।

খুলনা সিটি করপোরেশনের এটি পঞ্চম নির্বাচন। তবে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন এই প্রথম।

এর আগে, গত ৩১ মার্চ খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ১২ এপ্রিল। পরে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল চলে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। ২৩ এপ্রিল ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এরপর ২৪ এপ্রিল ইসি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দিলে শুরু হয় নির্বাচনি প্রচারণা।

খুলনা সিটি নির্বাচন: বড় ব্যবধানে এগিয়ে নৌকা
খুলনা সিটি নির্বাচন: ২০০ কেন্দ্রে নৌকা- ১২০৮৮২, ধানের শীষ- ৭৮১৭৪
শঙ্কায় মঞ্জু, সন্তুষ্ট খালেক
উৎকণ্ঠায় শুরু খুলনার ভোট
দুই ইভিএম কেন্দ্রে এগিয়ে নৌকা
জনগণের রায় মেনে নেব: খালেক
দুপুর নাগাদ ভোট পড়েছে ৫০ শতাংশ
কেসিসি নির্বাচন : দুপুরের পর পাল্টে গেছে দৃশ্য
কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে: মঞ্জু
জাল ভোটের চেষ্টা, খুলনার ইকবাল নগর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ

সারাবাংলা/এটি/টিআর

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন