বিজ্ঞাপন

উপজেলা নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই: বিএনপি

April 16, 2024 | 8:22 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: উপজেলা নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির তরফ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার (১৫ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় নির্বাচন কমিশন ঘোষিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়। সভা মনে করে ইতোপূর্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিষয়ে দলের যে সিদ্ধান্ত সেটা পরিবর্তনের কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। সভা মনে করে, এই অবৈধ সরকরের অধীনে কোনো নির্বাচনে সুষ্ঠ ও অবাধ হতে পারে না। সুতরাং এই উপজেলা নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।

বিএনপির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরাইল থেকে দুটি কার্গো বিমানের অবতরণের ঘটনায় সর্বমহলে উদ্বেগ ও সমালোচনার সৃষ্টির হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। ইসরাইলের সঙ্গে বাংলাদেশে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কোনো চুক্তি না থাকার পরও বিমানগুলো তেলআবিব থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে সরাসরি অবতরণ এবং তা নিয়ে পরবর্তীকালে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দেওয়া বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। উপরন্তু বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী, বাংলাদেশের গার্মেন্টস ইউরোপে পরিবহনের বিষয়টি বিজেএমই অস্বীকার করায় জনমনে আরও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে বলা হয়, যখন ইসরাইল কর্তৃক গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ, প্যালেস্টাইনিদের নির্বিচারে হত্যা সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় বইছে, সেই সময় ইসরাইল থেকে ঢাকায় বিমান অবতরণ রহস্য সৃষ্টি করেছে। সভা অবিলম্বে এই বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবার দাবি জানায়।

বিএনপির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বান্দরবান জেলায় কেএনএফ (কু-কি-চিন) এর হামলায় ব্যাংক ও অস্ত্র লুট এবং পাবর্ত্য এলাকায় বিরাট অংশে স্বায়ত্বশাসন দাবি নিয়ে আলোচনা হয়। বিএনপি মনে করে এই ধরনের দাবি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। এই সংগঠনটির ব্যাংক থেকে অর্থ এবং অস্ত্র লুঠ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। সভা মনে করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেনাবাহিনী প্রধানের বক্তব্য প্রমাণ করে যে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে এবং পরবর্তীকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য বিষয়টিকে আরও রহস্যময় করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের আক্রমণ এবং পরবর্তীকালে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বক্তব্য এটাই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কতটা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সরকার এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি। যা জনমনে আরও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। সভা মনে করে, বিডিআর-এর হত্যাকাণ্ড সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা এবং এই ধরনের আক্রমণের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ক্ষুন্ন করবার একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত। সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতার কারণে আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ছে। সভা মনে করে, অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে সরকারের সুস্পষ্ট বক্তব্য জনগণের সামনে উপস্থাপন করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন