বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপের বিশ্লেষণ: গ্রুপ ‘বি’ প্রিভিউ

June 7, 2018 | 11:08 am

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপ উপলক্ষে সারাবাংলা.নেটে শুরু হয়েছে দলগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ। পাঠকদের জন্য গ্রুপ ‘এ’র পর আজ থাকছে স্পেন, পর্তুগাল, ইরান ও মরক্কোর গ্রুপ ‘বি’।

ইরান
গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সঙ্গে ওই ম্যাচটার কথা অনেকের মনে থাকার কথা। লিওনেল মেসি শেষ মুহূর্তে এসে ওই জাদু না দেখালে আর্জেন্টিনাকে প্রায় ঠেকিয়েই দিয়েছিল ইরান। এবারও পর্তুগাল ও স্পেনের মতো দুই পরাশক্তি আছে গ্রুপে, তবে রক্ষণটা এবারও ইরানিদের মূল শক্তি। বাছাইপর্বে সবার আগে থেকে যে বিশ্বকাপে উঠেছে, তার মূল অবদান রক্ষণেই। পুরো বাছাইপর্ব মিলে দুই গোল হজম করেছে ইরান, তাদের চেয়ে কম গোল খাওয়ার কীর্তি নেই এশিয়ার আর কোনো দলেরই।

আগের ৪ বার বিশ্বকাপে খেললেও কোনোবারই প্রথম রাউন্ড পার হওয়া হয়ে ওঠেনি তাদের। ২০১৪ বিশ্বকাপের মতো এবারও ইরানিয়ানদের কোচ কার্লোস কুইরোজ। গত ৪ বছরে দলটিকে দেখেছেন কাছ থেকে, এবার কি দ্বিতীয় রাউন্ডে তোলার অসাধ্য সাধন করতে পারবেন?

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপে:
৪ অংশগ্রহণ
০ সেমিফাইনাল
০ ফাইনাল
০ চ্যাম্পিয়ন
প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৭৮

স্পেন
দারুণ দল নিয়েও কিছু করতে না পারার অপবাদ ঘুঁচিয়েছে স্পেন ৮ বছর আগেই। গত বিশ্বকাপটা অবশ্য ভুলেই যেতে চাইবে তারা, এরপর কোচ বদলের সাথে সাথে বিদায় নিয়েছে একটা প্রজন্মও। কাগজে কলমে এই স্পেন অবশ্য বিশ্বকাপের সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দলগুলোর মধ্যে একটি। গোলপোস্টের নিচে ডি গিয়া এখনও বিশ্বসেরা। রক্ষণে রামোস, পিকেরা তো আছেনই। মধ্যমাঠে বুস্কেটস, সিলভাদের অভিজ্ঞতার সাথে ইসকো, আসেনসিওরা শোনাতে পারেন নতুন প্রজন্মের গান।

তবে স্পেন কোচের সবচেয়ে বড় চিন্তার নাম হবে আক্রমণ। বাছাইপর্বে সবচেয়ে বেশি গোল যার, সেই মোরাতার ক্লাব ফুটবলের ফর্মহীনতার জন্য জায়গা হয়নি রাশিয়ার দলে। ভরসা তাই ডিয়েগো কস্তা, আসপাসরাই।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপে:
১৪- প্রথম রাউন্ড
২- সেমিফাইনাল
১- ফাইনাল
১- চ্যাম্পিয়ন

মরক্কো
আশি ও নব্বইয়ের দশকে বিশ্বকাপের নিয়মিত মুখ ছিল তারা। মুস্তাফা হাজি, নুরুদ্দিন নেইবেতদেও নাম হয়ে উঠেছিল পরিচিত। ১৯৯৮ সালের পর অনেক দিনের জন্য বিশ্বকাপ অধরা থেকে যায় মরক্কোর। অবশেষে ২০ বছর পর আবার ফিরেছে বিশ্বকাপে।

এবার তাদের বড় ভরসা রক্ষণ। বিশ্বকাপের ৩২টি দলের মধ্যে মরক্কোই একমাত্র দেশ, বাছাইপর্বে যারা কোনো গোল হজম করেনি। অথচ বাছাইপর্বের শুরুতে গোল করাটাই ছিল সমস্যা, প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতেই ছিল ড্র। এরপর বাকি ৩ ম্যাচই জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারা নিশ্চিত করেছে রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট। আক্রমণ ও রক্ষণে ইউরোপিয়ান লিগে খেলা বেশ কয়েকজন আছেন। তবে জুভেন্টাসের বেনাতিয়ার নেতৃত্বে রক্ষণই তাদের সবচেয়ে বড় ভরসা।

বিশ্বকাপে:
৪ অংশগ্রহণ
০ সেমিফাইনাল
০ ফাইনাল
০ শিরোপা
প্রথমঅংশগ্রহণ ১৯৭০
শেষ অংশগ্রহণ ১৯৯৮
সেরা অর্জন শেষ ১৬, ১৯৮৬

বিজ্ঞাপন

পর্তুগাল
ইউসেবিওদের সময় যে পর্তুগাল মুগ্ধ করেছিল বিশ্বকে, এরপর তারা বিশ্বকাপের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যায় লম্বা সময়ের জন্য। এরপর লুইস ফিগো, রুই কস্তাদের হাত ধরে নতুন ভোরের শুরু। আর রোনালদোরা সেই সূর্য নিয়ে গেছেন মধ্যগগনে। ইউরো চ্যাম্পিয়নরা এখন পরাশক্তিও বটে। তবে, দুই বছর আগের সেই ইউরো জয়ী দলের খোলনলচে বদলে গেছে অনেকটাই। ফাইনালের গোলদাতা এডের, রেনাতো সানচেজ, গোমেসসহ ওই দলের ১০ জন নেই এবার।

বাছাইপর্ব পার হতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি পর্তুগালকে। এই দলের সবচেয়ে বড় সুবিধা অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল দারুণ। রক্ষণে পেপে, ব্রুনো আলভেসরা যেমন পোড়খাওয়া, মাঝমাঠ ও আক্রমণে দলের হাল ধরার জন্য আছেন তরুণ আন্দ্রে সিলভা, বার্নার্দো সিলভারা। সবার ওপরে ছায়া হয়ে রোনালদো তো আছেনই। দেশের হয়ে অনেক রেকর্ড এর মধ্যেই নিজের করে নিয়েছেন, শোকেসে শুধু বিশ্বকাপই বাকি আছে।

বিশ্বকাপে:
৬ অংশগ্রহণ
২ সেমিফাইনাল
০ ফাইনাল
০ শিরোপা
প্রথম বিশ্বকাপ ১৯৬৬
শেষ বিশ্বকাপ ২০১৪
সেরা অর্জন ৩য় স্থান, ১৯৬৬

সারাবাংলা/ এএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন