বিজ্ঞাপন

আমার বুকে শত বেদনা, শত দুঃখ : প্রধানমন্ত্রী

March 17, 2018 | 12:19 pm

।।স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : ১৯৭৫ সালে ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহতদের ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দুর্ভাগ্য স্বাধীনতার মাত্র তিন বছরে আমরা জাতির পিতাকে হারিয়েছি।

‘আমার স্বজনদের হত্যা করা হয়েছে। শত বেদনা, শত দুঃখ বুকে নিয়ে আমার দিন কাটে। তারপরও সবকিছু ভুলে আমি একটা আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলার মানুষ ঘর পাবে, খাবার পাবে আমি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতার আদর্শ বুকে নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশের আগে জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতির পিতার জন্মদিনে আমরা এমন সুখবর পেলাম। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। ভারত, শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশও এখন উন্নয়নশীল দেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা এখন পিছিয়ে নেই। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এগিয়ে যাব। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল। তার স্বপ্ন পুরণে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে শিশু দিবস পালন করা হচ্ছে। আমরা শিশুদের দিকে নজর দিচ্ছি। তাদের খেলাধুলার সুবিধার জন্য খেলার মাঠ তৈরি করে দিচ্ছি। সংস্কৃতির দিকে নজর দিচ্ছি। যাতে শিশুরা সুস্থ দেহ, সুস্থ মন নিয়ে গড়ে উঠতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা শিশু বয়স থেকে শিক্ষার্থীদের দিকে নজর রাখবেন। আজকের শিশুরা আগামী দিনের যুবক। তাই তারা কোথায় যায়, কার সাথে চলে সেদিকে নজর রাখবেন। তারা যেন ভবিষ্যতে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকাশক্তিতে আসক্ত হয়ে না পড়ে সেদিকে নজর দিবেন। তারা যেন সুস্থ জীবন পায় এবং বাবা-মা, ভাই-বোনদের সাথে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘শিশুদের ভবিষ্যত যাতে সুন্দর হয়, উন্নত হয় আমাদের বর্তমানকে তাদের জন্য উৎসর্গ করছি। কেননা তারাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তারাই আগামী দিনের কর্ণধর। আমার বিশ্বাস আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

প্রধামন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার আদর্শ বুকে নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ইনশাল্লাহ এই বাংলাদেশকে আমরা একটা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তলেতে পারবো। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। এই বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলকে মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করতে হবে। আমরা কম্পিউটর শিক্ষা দিচ্ছি, কম্পিউটর ল্যাব করে দিচ্ছি, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম করে দিচ্ছি। অনেককে বৃত্তি দিচ্ছি। প্রাইমারি থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত ২ কোটি ৩ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। ১ কোটি ৩০ লাখ প্রাইমারি শিক্ষার্থীর মায়ের নামে মোবাইল ফোনের মাধ্যেমে বৃত্তির টাকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবন্ধিদের জন্য ভাতা দিচ্ছি। দেশে প্রায় ৮ লাখ প্রতিবন্ধি ভাতা পায়। ৮০ হাজার প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছি, স্পেশাল ভাতা দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, প্রত্যেকটি জেলা যেন ভিক্ষুকমুক্ত হয় এবং কেউ যেন গৃহহীন না থাকে তার ব্যবস্থা আমরা করেছি। একটা দেশকে, সমাজকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা নানা কর্মসূচি হাতে নিয়ে তা বাস্তবায়ন করে ‍যাচ্ছি। যা একবারে গ্রাম থেকে শুরু করেছি। এরই শুভ ফল আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মর্যাদা নিয়ে চলবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

আরও পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আজ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন