বিজ্ঞাপন

মৃত্যুর আগে কাশ্মীরের স্বাধীনতা চাইলেন শোয়েব

April 8, 2018 | 3:34 pm

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

কাশ্মীর ইস্যুতে সম্প্রতি উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির বিতর্কিত টুইট নিয়ে সরগরম ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট মহল। টুইটারে আফ্রিদি জানিয়েছিলেন, কাশ্মীরে অত্যাচার করছে ভারত। এবার পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতারও কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কিত কথা লিখলেন টুইটারে।

রাউলপিন্ডি এক্সপ্রেস খ্যাত শোয়েব টুইটারে লিখেছেন, ‘সময় এসেছে দু’দেশের যুবাদের উঠে দাঁড়ানোর এবং একটি শক্ত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করার। কেন ৭০ বছরেও দু’দেশের সমস্যার সমাধান হলো না। আমি তোমাদের জিজ্ঞাসা করছি তোমরা কি আরো ৭০ বছর এই ঘৃণা নিয়ে বাঁচতে চাও?’

কাশ্মীর সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করে আফ্রিদি লিখেছিলেন, ‘কাশ্মীরের মানুষের উপর ভারতের অত্যাচার চলছে। এখন রাষ্ট্রসংঘ আর অন্যান্য সব আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কোথায়? তারা কেন এই রক্তপাত বন্ধ করছে না।’ এরপর থেকে ভারতের সাবেক এবং বর্তমান ক্রিকেটারদের রোষের মুখে পড়েন আফ্রিদি। ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান, গৌতম গম্ভীর, বিরাট কোহলি ছাড়াও আফ্রিদিকে পাল্টা দেন শচীন টেন্ডুলকার, বিরেন্দ্রর শেওয়াগরা।

বিজ্ঞাপন

টুইটের জবাব দিয়ে টেন্ডুলকার লিখেছিলেন, ‘আমাদের দেশের ব্যাপারে কোনো বহিরাগতের মন্তব্য করার দরকার নেই। ওখানে থাকা ভারতীয় প্রতিনিধিরা বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে সমর্থ।’ টুইটারে ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান লিখেছিলেন, ‘আগে নিজের দেশের হাল ঠিক করো। নিজের মত নিজের কাছে রাখো। নিজের দেশের জন্য আমরা যা করেছি সেটাই ঠিক। কী করতে হবে আমরা জানি। তোমাকে এসব ব্যাপারে মাথা গলাতে হবে না।’

এদিকে, এই অবস্থার মাঝেই শোয়েব আখতার টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘সালমান (ভারতীয় অভিনেতা) জামিন পাওয়ায় আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই। আর জীবনে একটা দিন দেখে যেতে চাই, যেদিন কাশ্মীর, ইয়েমেন, আফগানিস্তানে প্রকৃত স্বাধীনতা ফিরে আসবে। মৃত্যুর আগে এই একটা দিন দেখে যেতে চাই যখন রক্তঝরা বন্ধ হবে।’

যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই এই টুইটটি মুছে ফেলা হয়। এরপর আরেকটি টুইটে শোয়েব লেখেন, ‘আমাদের দু’দেশের নেতৃত্বকেই প্রশ্ন করা উচিত, যে কেন আমরা দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে নিজেদের সম্পর্ক উন্নত করতে পারিনি। আমরা কি আরও ৭০ বছর এই ঘৃণা নিয়েই বাঁচতে চাই?’

বিজ্ঞাপন

এদিকে, সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় শোয়েব আরও জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে লড়াই চলছে। দু’দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রশাসকদের এ নিয়ে আলোচনায় বসা উচিত। তাহলেই এই দূরত্ব ঘুচবে। না হলে ৭০ বছর ধরে আমরা যা ভোগ করেছি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও তাই ভোগ করবে। সেটা কী আমরা কেউ চাই?’

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন