বিজ্ঞাপন

মোবাইল কল রেট কম, মানুষ অকারণে কথা বলে: এনবিআর চেয়ারম্যান

June 12, 2020 | 7:05 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় মোবাইল ব্যবহারে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানোকে ‘সহনীয়’ বলে মনে করছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। শুধু তাই নয়, দেশে মোবাইল কলরেট কম বলেই মানুষ অকারণে মোবাইলে কথা বলে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১২ জুন) ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এ কথা বলেন। এ বছর প্রথমবার অনলাইনে বাজেটোত্তর এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন- ব্যাংকে তারল্য সংকট নেই, সরকারকে ঋণ দিতে সমস্যা হবে না: গভর্নর

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, মোবাইল ফোনের কলের ওপর আগে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ছিল। সেটা আরও ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এটা নিয়ে অনেকেই না বুঝে নানা ধরনের কতাবার্তা বলছেন। আমাদের সমস্যা হলো আমরা অনেক সময় ঠিকমতো না বুঝেই মন্তব্য করতে থাকি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, মোবাইল ফোনের সেবায় কর বেশি বাড়ানো হয়নি। এটি আগে ১০ শতাংশ ছিল, বর্তমানে ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কষ্ট হওয়ার কথা নয়। কারণ সাধারণ মানুষ ফোনে প্রচুর কথা বলে।

আরও পড়ুন- এই বাজেট মানুষ বাঁচানোর বাজেট: অর্থমন্ত্রী

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, মোবাবইল ফোনের কলরেট সহনীয় হওয়ার কারণে মানুষ সারাক্ষণ কথা বলে। অনেকে রেললাইন দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মোবাইলে কথা বলতে থাকেন। এতে করে অনেক সময় দুর্ঘটনায় অনেকেই মানুষ মারাও গেছেন। বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের কল রেট কম বলেই মানুষ এত বেশি কখা বলতে পারছেন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম জানান, মোবাইল ফোনের ওপর বর্ধিত করহার এরই মধ্যে কার্যকর হয়ে গেছে। কারণ নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় সংসদে বাজেট ঘোষণার পরপরই কিছু কিছু ক্ষেত্রে করহার কার্যকর হয়ে যায়। পরে কোনো সংশোধনী থাকলে সে অনুযায়ী পরিবর্তন আনে এনবিআর।

আরও পড়ুন- বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব: অর্থমন্ত্রী

এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভারতে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব হয়েছে কারণ তাদের করের আওতা বেশি। তারা কর না বাড়িয়ে করের জাল বাড়াচ্ছে। এ কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে করের বিষয়টা উল্টো। কারণ আমাদের করের জাল সীমিত। ফলে করহার একটু বেশি। তাই আমাদের করহার না বাড়িয়ে করের জাল বাড়ানো দরকার। করের আওতা বাড়ানো গেলে করহার আরও কমানো সম্ভব হবে। সরকার সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- করোনা মোকাবিলায় ‘শেকড়’ কৃষিতে ফেরার লক্ষ্য অর্থমন্ত্রীর

বাজেটাত্তর এই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য তিনি সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের এই সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মশিউর রহমান, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকরা অংশ নেন।

ফাইল ছবি

আরও পড়ুন-

বাংলাদেশকে ‘গরিব দেশ’ বলায় চটলেন অর্থমন্ত্রী

প্রথমবারের মতো অনলাইনে বাজটোত্তর সংবাদ সম্মেলন

‘মানুষকে বাঁচাতে আয়ের অপেক্ষা না করেই খরচের হিসাব করেছি’

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন