বিজ্ঞাপন

জন্মদিবসে জন্মভূমিতে মাস্টারদাকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ

March 22, 2023 | 10:15 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ১৩০ তম জন্মদিবসে নিজ জন্মভূমিতে চট্টগ্রামের রাউজানে অগ্নিযুগের বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেনকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২২ মার্চ) সকালে রাউজানে মাস্টারদা সূর্য সেন স্মৃতি পাঠাগারের সামনে আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম।

এসময় তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা মাস্টারদা সূর্য সেন নির্ভীক দেশপ্রেমিক ছিলেন। তিনি যুব বিদ্রোহের মাধ্যমে উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছিলেন। পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির আন্দোলন ত্বরান্বিত করে মানুষকে স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রেরণা ও সাহস জুগিয়েছিলেন।’

এসময় রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খান, সমীর দাশ গুপ্ত, রাউজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার‌ম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, মাস্টারদা সূর্য সেন স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, রাউজান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিম নেওয়াজ চৌধুরী, কাউন্সিলর হাজি ইকবাল, আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, সুমন দে, আবদুল লতিফ, যুবলীগের তপন দে, আবু সালেহ, ছাত্রলীগের অনুপ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মাস্টারদা’র আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

উল্লেখ্য, সূর্য সেন ১৮৯৪ সালের ২২ মার্চ চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৮ সালে শিক্ষাজীবন শেষ করে চট্টগ্রামে এসে গোপনে বিপ্লবী দলে যোগ দেন। ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মির (বিপ্লবীদের গঠিত সংগঠন) চট্টগ্রাম শাখার সর্বাধিনায়ক মাস্টারদা সূর্য সেন বিপ্লবী বাহিনী নিয়ে বৃটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। বিপ্লবীরা দামপাড়া পুলিশ লাইন্স আক্রমণ করে অস্ত্রাগার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র লুট করে। মাস্টাররদা সেখানেই ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর তিনি পাহাড়ে আত্মগোপন করেন। সূর্য সেনকে ধরার জন্য ইংরেজ সরকার পুরস্কার ঘোষণা করে।

বিজ্ঞাপন

সরকার ১৯৩০ সালের ২৪ জুলাই চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অস্ত্রাগার লুণ্ঠন মামলার শুরু করে। ১৯৩২ সালের জুন মাসে মাস্টারদা প্রীতিলতা ও কল্পনা দত্তকে ডিনামাইট দিয়ে চট্টগ্রাম কারাগার উড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। এই ঘটনায় ১১ জন বিপ্লবী গ্রেফতার হন। ২৪ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবে সফল আক্রমণ চালান, তবে তিনি গুলিবিদ্ধ হন এবং সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন।

এ ঘটনার পর মাস্টারদা পটিয়ার গৈড়লা গ্রামে আত্মগোপন করেন। কিন্তু ১৯৩৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি ধরা পড়েন। সূর্য সেন, তারকেশ্বর দস্তিদার এবং কল্পনা দত্তের বিশেষ আদালতে বিচার হয়। ১৪ আগস্ট সূর্যসেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসির রায় হয় এবং কল্পনা দত্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়াারি চট্টগ্রাম কারাগারে তাদের ফাঁসি কার্যকর হয়।

সারাবাংলা/আইসি/এনইউ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন